দুই মাসের মধ্যে ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তিনবার, সেটা চারও হতে পারে যদি দুই দেশ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে। গত টি ২০ বিশ্বকাপের পর ফের আগামী ২৮ অগাস্ট এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। সেই মহারণের কাউন্টডাউন চলছে। এরই মধ্যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের এক অজানা তথ্যে আলোকপাত করলেন হরভজন সিং। জানালেন, কীভাবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ধোনির পরামর্শ মেনে তিনি বোলিং করায় বদলেছিল ম্যাচের মোড়।
২০১১ সালের ৩০ মার্চ মোহালিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫০ ওভারে তুলেছিল ৯ উইকেটে ২৬০ রান। ১১৫ বলে ৮৫ রান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, তিনিই ম্যাচের সেরা হন। ৪৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে কয়েকটি উইকেট হারালেও বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল মিসবা উল হকের সঙ্গে উমর আকমলের জুটি। উমর ২৪ বলে ২৯ রান করে যখন আউট হন পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩৩.১ ওভারে ১৪২। উমরকে আউট করেছিলেন হরভজন। ঠিক তার আগেই জলপানের বিরতিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি ভাজ্জিকে দিয়েছিলেন মোক্ষম পরামর্শ।
স্টার স্পোর্টসের দিল সে ইন্ডিয়া অনুষ্ঠানে হরভজন বলেন, তার আগে অবধি আমি কেমন যেন অসাড়, অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছিলাম। ৫ ওভার বল করে ২৬-২৭ রান দিয়েছিলাম। এরপর ধোনি এসে দেখিয়ে দেন কোথা থেকে বল করতে হবে। উমর ও মিসবা তখন ভালো ব্যাটিং করছিলেন। তাঁদের পার্টনারশিপটি বিপজ্জনক মনে হচ্ছিল। ধোনির পরামর্শ মেনে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে গিয়ে প্রথম বলেই সেই জুটি ভেঙে দিয়েছিলেন হরভজন। তাঁর কথায়, ওই ওভারটি শুরু করার সময় ঈশ্বরকে ডাকছিলাম। জয়ের জন্য প্রার্থনা করছিলাম। ঈশ্বর সদয় হয়েছিলেন। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে গিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই উমরকে বোল্ড করে দিই। আমার বলটি পুরোপুরিভাবে মিস করেছিলেন আকমল।
উল্লেখ্য, এই জুটি ভাঙার পর আর বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি পাকিস্তান। আবদুল রাজ্জাক ৩, অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি ১৯ রানে আউট হন। আফ্রিদির উইকেটটিও হরভজনই নিয়েছিলেন। তিনি ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট দখল করেছিলেন। জাহির খান, আশিস নেহরা, মুনাফ প্যাটেল ও যুবরাজ সিংও দুটি করে উইকেট নেন। মিসবা ৭৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়েছিলেন। শেষ অবধি পাকিস্তান ৪৯.৫ ওভারে ২৩১ রানে অল আউট হয়, ফাইনালে পৌঁছে যায় ভারত। তারপর ধোনির নেতৃত্বে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ১৯৮৩ সালের পর একদিনের আন্তর্জাতিকে ফের বিশ্বজয়ের স্বাদ পায়।