নতুন ক্লাব বেছে নিলেন সন্দেশ ঝিংঘান:
ডুরান্ড কাপের মধ্যে দিয়ে নতুন মরসুমে ঢাকে কাঠি পড়ার কয়েক দিন আগেই নিজেদর পরিস্কার হয়ে গেল সন্দেশ ঝিংঘানের নতুন ঠিকানা। ইউরোপীয় ফুটবলে খেলা ভারতীয় ডিফেন্ডার আসন্ন মরসুমে খেলবেন বেঙ্গলুরু এফসি'র জার্সিতে। দেশের অন্যতম সফল এই ক্লাবের পক্ষ থেকেই সন্দেশকে সই করানোর কথা জানানো হয়েছে। কত দিনের চুক্তিতে সন্দেশকে সই করানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, অতি দ্রুতই সেই খবর সামনে আসবে।
সন্দেশের কাছে প্রস্তাব ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের:
এটিকে মোহনবাগান বাতিলের খাতায় ফেলার পর তাঁকে পাওয়ার জন্য একাধিক আইএসএল ক্লাব দৌড়ে ছিল। এটিকেএমবির ছেঁটে ফেলা ফুটবলারকে পেতে লড়াইয়ে অন্যান্য ক্লাবগুলিকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে দৌড়ে ঢুকে পড়েছিল বেঙ্গালুরু এফসিও। কিন্তু এই দুই ক্লাবকেই ঝুলিয়ে রেখেছিলেন সন্দেশ। বিদেশে ফুটবল খেলার বাসনা থেকেই দীর্ঘ দিন নতুন ক্লাব বেছে নিতে দেড়ি করেন তিনি। কিন্তু মরসুম শুরুর আগে যখন বুঝে গেলেন বিদেশে শিঁকে ছিড়বে না তখন বেঙ্গালুরকে বেছে নিলেন সন্দেশ।
বিদেশি লিগে অচল সন্দেশ:
সন্দেশ ঝিংঘানকে নিয়ে যতই মাতামাতি হোক মধ্যমানে এই ফুটবলার বিদেশি ফুটবলে যে অচল তা বোঝা গিয়েছিল যখন এইটএনকে সিবেনিক একটি ম্যাচ না খেলিয়ে চোট প্রবন সন্দেশকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রেখে দেশ পাঠিয়ে দেয়। সন্দেশকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বেশি মাতামাতি হলেও তিনি বহু প্রাক্তন ভারতীয় ডিফেন্ডারের মানের থেকেই নিম্নমানে। মহেশ গাউলি, গৌরমাঙ্গি সিং, দীপক মণ্ডল, দেবব্রত রায়'রা সন্দেশের থেকে অনেক বড় মাপের ডিফেন্ডার ছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর দেখনদারি বেশি না থাকায় তাঁরা এতটা লাইমলাইট পাননি। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ের ক্লাবের সঙ্গে কাতারের আল ঘরাফা, মাদারওয়েল-এর নাম সন্দেশের পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে ভেসে উঠলেও তা ওই জল্পনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে।
এটিকে মোহনবাগানের জার্সিতেঝিংঘানের পারফরম্যান্স:
অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের পছন্দের ফুটবলার হলেও ফেরান্দোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি সন্দেশ। ২০২০-তে সন্দেশ এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পর ব্যাপক হাইপ তৈরি হলেও তিনি ক্লাবের থেকে মরসুম শেষে রিলিজ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবে। গত মরসুমের দ্বিতীয় পর্বে চোটপ্রবন এই ফুটবলার এটিকে মোহনবাগান শিবিরে যোগ দেন। জুয়ান ফেরান্দো ডিপ ডিফেন্স থেকে পাসিং ফুটবল খেলে আক্রমণ তুলে আনতে চান। কিন্তু সন্দেশের বল ধরে খেলার ক্ষমতা কনেকটাই কম থাকায় তিনি কোচের স্ট্র্যাটেজিতে খাপ খাচ্ছিলেন না।