সেই রাত
রস টেলরের আত্মজীবনীটি লিখেছেন পল টমাস, যার বিভিন্ন অংশ তুলে ধরা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলিতে। টেলরের কথায়, বীরেন্দ্র শেওয়াগের রেস্তরাঁয় সেই রাতটি স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সেখানে আমাদের দলের অনেকেই বড় স্ক্রিনে ম্যানচেস্টার সিটি ও কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স ম্যাচ দেখছিলেন। প্রিমিয়ার লিগের চূড়ান্ত পর্বের সেই খেলায় সের্হিও আগুয়েরো ইনজুরি টাইমে গোল করে সিটিকে ৩-২ গোলে জেতান। ৪৪ বছরে এটিই ছিল সিটির প্রথম খেতাব। শেহওয়াগের রেস্তরাঁয় দারুণ খাবার ছিল, বিশেষ করে চিংড়ি। আমি পরপর বেশ কয়েকটি চিংড়ি খেতে থাকি। খেয়াল করিনি শেহওয়াগ সেটি দেখছেন।
বীরুর চিংড়ি-কথা
Stuff.co.nz-এ প্রকাশিত টেলরের আত্মজীবনীর অংশে টেলর আরও জানান, পরের দিন আমাদের ম্যাচ ছিল। মাঠের বিভিন্ন অংশে শট খেলে শেহওয়াগ ছন্দে থেকেই ব্যাট করছিলেন। তবে আমার মতো বিদেশিদের খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। আমি নার্ভাস হয়ে পড়ি। কেন না, বড় অঙ্কের চুক্তি রয়েছে, আমাকে ভালো খেলতে হবে। ব্যাট করতে নামার সময়ই চাপ অনুভব করছিলাম, কিন্তু শেহওয়াগ রিল্যাক্সড ছিলেন। ব্যাটারার খেলার মাঝখানে কখনও একে অপরের ব্যাট ছুঁইয়ে নেন, কখনও বা দুজনে একে অপরকে গ্লাভস ঠেকিয়ে উৎসাহিত করেন। শেহওয়াগ সেভাবেই টেলরের গ্লাভসে নিজের গ্লাভস ঠেকিয়ে বলেন, "রস, যেভাবে তুমি চিংড়ি খাচ্ছিল, সেভাবেই ব্যাট করো।" টেলর লিখেছেন, শেহওয়াগের ওই কথা শুনে মনে হয়েছিল ক্রিকেট তাঁর কাছে হবি এবং তিনি খেলেন মজা পেতেই। এরপরও দেখা হলে শেহওয়াগ সেই চিংড়ির কথা তুলে থাকেন বলে জানিয়েছেন টেলর।
কে মারেন চড়?
তবে এরই মধ্যে জল্পনা চলছে, টেলরকে চড় কে মেরে থাকতে পারেন। উল্লেখ্য, প্রকাশিত আত্মজীবনীর একাংশে টেলর জানিয়েছেন, মোহালিতে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে শূন্য রান করার পর টিম হোটেলের বারে তাঁকে রাজস্থান রয়্যালসের এক কর্ণধার তিন-চারটি চড় মেরেছিলেন। সেই থাপ্পড়গুলি সজোরে না হলেও তা মজা করার জন্য যে মারা হয়েছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন টেলর। কেন না, বলা হয়েছিল শূন্য রান করার জন্য তাঁকে টাকা দেওয়া হয় না। পেশাদার ক্রীড়া পরিকাঠামোয় এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হবে, তা টেলরের ভাবনাতেই ছিল না।
জল্পনায় রাজের নাম
এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে ইনসাইড স্পোর্ট এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, যে সময়ে এই ঘটনা অর্থাৎ চতুর্থ আইপিএলে তখন রাজস্থান রয়্যালস দলের সঙ্গে বিভিন্ন শহরে ঘুরতেন অন্যতম কর্ণধার রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেট্টি। মাঝেমধ্যে দলের সঙ্গে থাকতেন মনোজ বাদালে। ফলে টেলর যাঁর কথা বলতে চাইছেন তিনি রাজ কুন্দ্রা হওয়ার সম্ভাবনাই জোরালো। উল্লেখ্য, আইপিএল-সহ ক্রিকেট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় থেকে আজীবন নির্বাসিত কুন্দ্রা।