নীতীশ ম্যাজিক কী খতম
নীতীশ কুমার যে তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন সেটা স্পষ্ট হয়েগিয়েছিল ২০২০ বিধাসভা নির্বাচনে। বিজেপির ভোটে বলিয়ান হয়েই এক প্রকার বিহারে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ কুমার। জেডিইউ তেমন আসন পায়নি। উল্টে অনেক জায়গাতেই হারােনা জমি ফিরে পেয়েছিল আরজেডি। যেখােন হেরেছিল সেখানে হারের মার্জিন ছিল একেবারেই নগন্য। কাজেই হঠাৎ করে নীতীশের এই জোট বদলের সিদ্ধান্তকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিিন দাবি করেছেন বিহারে জেডিইউ-আরজেডি জোট খুব একটা প্রভাব ফেলবে না জাতীয় রাজনীতিতে।
সুবিধাবাদী নীতীশ
এক কথায় নীতীশ কুমারকে সুবিধাবাদী বলেই নিশানা করেছেন তিিন। প্রশান্ত কিশোরের দাবি গত ১০ বছরে একাধিকবার জোট বদলেছেন নীতীশ কুমার। প্রথম আরজেডির সঙ্গে জোট। তারপরে সুযোগ বুঝে আরজেডিকে ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিিন। সেখানে বিশেষ সুবিধা হচ্ছে না আঁচ করে ফের জোট বদলে ফেলেছেন তিনি। কাজেই নীতীশ কুমার সেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। সেকারণে নীতীশের জোট বদলে লোকসভা ভোটে তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর।
একটি জোটে বেশিদিন থাকেন না নীতীশ
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই একটা সময়ে বিহারে জিতে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ কুমার। তারপরে নীতীশের পার্টিতে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বন্ধুত্ব টেকেিন। জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন প্রশান্ত কিশোর। তারপরেই টিএমসির ভোট কূশলীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং ডিস্টিংশন িনয়ে পাস করেন। নীতীশের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকায় তিিন জােনন কোন পথে কীভাবে এগোতে পারেন নীতীশ কুমার। সেইকারণেই নীতীশ কুমারের এই জোট বদলকে আমোল দিতে নারাজ প্রশান্ত কিশোর।
কী হতে চলেছে ২০২৪-এ
একাধিক রাজ্যে বিরোধী জোট সরকারের পতন ঘটিয়েছে বিজেপি। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের দুর্বল করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বিরোধী দলের নেতাগুলির উপরে চাপ তৈরি করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। টিএমসি আগে থেকেই লোকসভা ভোটের জন্য প্রশান্ত কিেশারের পরামর্শ নিতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিকে। কিন্তু তাতে খুব একটা ফল হয়নি। কারণ প্রথম থেকেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের মত পার্থক্য তৈরি হয়েছিল।