অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য সমীক্ষা
বিহারে অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিহার প্রশাসনের এ উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়ছেন, সমীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। একবার এই সমীক্ষা শুরু হলে ৪৫ দিন চলবে। প্রশাসনের তরফে মনে করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই সমীক্ষা শেষ হয়ে যাবে। বর্তমাবনে বিহারে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষরা কোথায় অবস্থান করছে, এই সমীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে। দ্বারে দ্বারে ঘুরে এই সমীক্ষা করা হবে বলে বিহার প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এছাড়াও অনলাইনেও এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে। এই সমীক্ষার ফলে রাজ্যে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা জানতে পারা যাবে। শিক্ষা বা বেকারত্বের দিকে তাঁরা কোথায় অবস্থান করছে তা জানা যাবে। সামাজিক ও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে সমীক্ষার এই তথ্য কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনীতিতে ব্যবহার করা হবে সমীক্ষার ফল
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই সমীক্ষার তথ্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব হয়। নির্বাচনের আগে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই তথ্য কাজে আসবে। আরজেডির নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল বরি সদ্দিকি বলেন, দলের অভ্যন্তরেও এই সমীক্ষার তথ্য কাজে আসবে। অন্যদিকে, জেডিইউয়ের লোকসভার সাংসদ চন্দ্রেশ্বর প্রসাদ বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই প্রচার করে আসছি, জনসংখ্যা ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা। এই সমীক্ষার ফলাফলে প্রার্থী নির্বাচন করা সম্ভব হবে। যার ফলে দল শক্তিশালী হবে। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র এবং সমানাধিকার আরও মজবুত হবে।'
চিন্তিত নয় বিজেপি
বিজেপি এমএলসি দেবেশ কুমার বলেন, বিহার সরকার অনগ্রসর শ্রেণির ওপর যে সমীক্ষা করছে, তাতেব দল মোটেই চিন্তিত নয়। বিজেপির বিহারের প্রতিটি স্তরে ভিত্তি যথেষ্ঠ শক্তিশালী। অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যেই বিজেপির জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে এই সমীক্ষার রিপোর্ট আদৌ কোনওদিন প্রকাশ করা হবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেবেশ কুমার। অতীতেও এই ধরনের অনেক সমীক্ষা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সমস্ত সমীক্ষা আর আলোর মুখ দেখতে পায়নি।