রুশদির উপরে হামলা
বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদির উপরে অতর্কিত হামলা। নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সেসময়ই দর্শক আসনে বসে থাকা এক যুবক হঠাৎই ছুরি নিয়ে স্টেজে উঠে পড়েন। কেউ কিছু করার আগেই রুশদির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিিন। ১০ থেকে ১২ বার রুশদিকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিেত লুটিয়ে পড়েন বুকার জয়ী লেখক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এয়ার লিফট করে হাসপাতালে িনয়ে যান সেখাকার আধিকারিকরা।
গ্রেফতার হামলাকারী
রুশদির উপরে যে হামলা চালিয়েছে সেই যুবকের বয়স মাত্র ২৪ বছর। নাম হাদি মাতার। আমেরিকারই নিউ জার্সির বাসিন্দা সে। কেন রুশদির উপরে সে হামলা চালালো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। হাদি মাতার রুশদির গলায় এবং পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ছুরি হাতে কীভাবে সে অনুষ্ঠানের ভেতরে নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খালি হাতেই এসেছিল হাদি মাতার। তদন্তকারীরা মনে করছেন হামলাকারী একক ভাবেই এই কাজ করেছে। তবে নেপথ্যের জঙ্গি যোগের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।
ভেন্টিলেশনে রুশদি
গতকাল রাতেই তাঁকে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অস্ত্রোপচারও হয়েছে রুশদির। তাঁর এজেন্ট জািনয়েছেন অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর এজেন্ট জানিয়েছেন সুস্থ হয়ে উঠলেও একটি চোখ নষ্ট হয়ে যাবে। রুশদির লিভারের অবস্থাও ভাল নয় বলে জানিয়েছে তাঁর এজেন্ট। অত্যন্ত সংকট জনক রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
বিতর্কিত লেখক
ভারতীয় বংশোদ্ভুত সলমন রুশদিকে বিতর্কিত লেখব বলেই জানে গোটা বিশ্ব। বুকার জয় করলেও তাঁকে আত্মগোপন করে থাকতে হত। তাঁর লেখা বিতর্কিত উপন্যাস স্যাটানিক ভার্সেস ইসলাম িনয়ে একাধিক বিতর্কিত কথা লেকা হয়েছিল তার পরেই নব্বইয়ের দশকে তাঁকে ইরান সরকার দেশ ছাড়া করে এমনকী রুশদির মাথার দামও সেসময় ঘোষণা করা হয়েছিল।