আশাবাদী বিহারের রাজনৈতিক মহল
২০২৪ সালে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ নীতীশ কুমার হতে চলেছেন কি না, সেই নিয়ে একাধিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিহারের রাজনৈতিক হলের একাংশের দাবি, কেন তিনি লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ হতে পারবেন না। তাঁর মতো দুঁদে রাজনৈতিক নেতারই দরকার বিরোধীদের মুখ হওয়ার জন্য। আর বিজেপিকে তো খুব ভালো করেই চেনেন তিনি। যদিও এই বিষয়টিকে নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিহারের মু্খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
রাজ্যের সমস্যাকে গুরুত্ব নীতীশ কুমারের
চলতি সপ্তাহে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতীশ কুমার বলেন, এই বিষয়ে তিনি ভাবতে চাইছেন না। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, স্থানীয় সমস্যা, রাজ্যের সমস্যা তাঁর কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেই তিনি দেশের দিকে তাকাবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে লোকসভা নির্বাচন বা বিরোধীদের মুখ হওয়ার বিষয়ে কিছু ভাবছেন না। ভাবার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে তিনি চান, প্রতিটি রাজনৈতি দল এক জোট হয়ে কাজ করুক। তিনি মনে করছেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে, সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরা সম্ভব হবে।
বিহারের রাজনীতির পালাবাদল
মহারাষ্ট্রের উল্টোপুরাণ বিহারে। ২০২০ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে জেডিইউ বিহারে সরকার গঠন করে। নীতীশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু জোটের রং দ্রুত ফিকে হতে শুরু করে। বিজেপির সঙ্গে জেডিইউয়ের বিরোধ বার বার প্রকাশ্যে আসতে থাকে। নীতীশ কুমারকে বিজেপি বিধায়করা বার বার অপমানিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু জেডিইউ-এর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি রামচন্দ্র প্রসাদ সিং দল ছাড়ার পরেই নীতীশ কুমার আশঙ্কা করেন, মহারাষ্ট্রের মতো পরিণতি বিহারে হতে চলেছে। এরপর দ্রুত তিনি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপি জোটের থেকে বেরিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন। বিহারে মহাগঠবন্ধন ক্ষমতায় আসে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে।