তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-র নির্দেশ
গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সমান্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের সকল বকেয়া ও মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিয়ে হবে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, ডি হল একজন সরকারি কর্মীর মৌলিক অধিকার।
দিন দশেক বাকি ডিএ মামলায় নয়া মোড়
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্ধারিত সময় শেষ হতে চললও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে, তা পালনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আর মাত্র দিন দশেক বাকি, তার মধ্যেই ডিএ নিয়ে একটা ব্যবস্থায় পৌঁছতে হবে। নইলে আদালত অবমাননদার দায় বর্তাবে রাজ্যের উপর।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিভিউ পিটিশন রাজ্যের
এই অবস্থায় ফের আদালতের শরণাপন্নই হল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। এই ডিএ মামলা পুর্নিববেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার। এখন দেখার আদালত এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত জানায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করেছে। এখন রায়ের অপেক্ষা।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মমলায় নয়া মোড়
বৃহস্পতিবার অনলাইনে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কাজ সম্পন্ন করেছে রাজ্য সরকার। যদিও এই মামলায় এখনও মামলাকারীদের নোটিশ দেওয়া হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট রিভিশন পিটিশন গ্রহণ করলেই এই সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হবে। এখন দেখার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মমলা কোন দিকে মোড় নেয়।
কলকাতা হাইকোর্ট স্যাটের নির্দেশই বহাল রাখে
রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট। তিন মাসের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ্যসচিব। কিন্তু সেউ নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এর ফলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি। কলকাতা হাইকোর্ট স্যাটের নির্দেশই বহাল রাখে।
১৯ অগাস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ প্রাপ্তি বিশ বাঁও জলে
আগামী ১৯ অগাস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ৩১ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হতে পারে। তার আগে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য সরকার। ফের হাইকোর্টের কোর্টে বল পাঠাল মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।