একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়।
একদিকে যখন অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। আরও একটি টিম বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যায়। উল্লেখ্য, অনুব্রত মন্ডলের শারীরিক পরীক্ষার পর কার্যত বোমা ফাটিয়ে ছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁকে দিয়ে জোর করে বেড রেস্টের কথা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এমনকি সুপারের কথা মতো সাদা কাগজে ১৪ দিনের বেড র্যাস্ট চন্দ্রনাথবাবু লিখে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়ে ছিলেন। যা নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন
প্রশ্ন ওঠে কীভাবে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিতসক একজন তৃণমূল নেতার বাড়িতে যেতে পারে। এমনকি ছুটিতে থাকা হাসপাতালের সুপার কীভাবে অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে সরকারি একজন চিকিতসককে পাঠাতে পারে। ফলে একের পর এক বিতর্ক সামনে আসতেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ এই বিষয়ে তাঁকে জেরা সিবিআই আধিকারিকরা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। কেন বিশ্রাম লিখেছিলেন সেই বিষয়েও তথ্য জানতে চান তদন্তকারীরা।
চন্দ্রনাথবাবু এই মুহূর্তে ছুটিতে আছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেই খবর। তবে ডাক্তার জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে তিনি যা জানিয়েছেন সবটাই বলেছেন।
কোমর বেঁধেই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নামছে
তবে এই বিষটি সিবিআইয়ের কাছে মোক্ষম তাস হতে চলেছে বলেই মনেই করছেন পর্যবেক্ষকরা। বিশেষ করে আগামিদিনে অনুব্রত মন্ডলের কতটা প্রভাব রয়েছে তা আদালতের সামনে সিবিআই তুলে ধরবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জামিন পেতে অনুব্রত মন্ডলের জামিন পেতে সমস্যা হলেও হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীমহল। যদিও এই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে একেবারে কোমর বেঁধেই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নামছে তা ক্রজত স্পষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফাঁকা অনুব্রত মন্ডলের বীরভুমের পেল্লাই বাড়ি
অন্যদিকে সকাল থেকে ফাঁকা অনুব্রত মন্ডলের বীরভুমের পেল্লাই বাড়ি। সোমবার দিন বিশেষ পুজোর জন্যে গত কয়েকদিন ধরে প্যান্ডেল করা চলছিল। কিন্তু অনুব্রত গ্রেফতার হতেই সেই প্যান্ডেল খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি একেবারে শুনশান গোটা বাড়ি। সকাল থেকে কারোরই এদিন দেখা পাওয়া যায়নি।