করোনায় আক্রান্ত কিম জং উন
একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করে। এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে অনুষ্ঠানে কারও মুখে মাস্ক ছিল না। বুধবারের সেই অনুষ্ঠানে করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করা হয়। সেই সময় কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে দেশের তরুণ নেতা শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। পিয়ংইয়ং-এর তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমবারের জন্য কিম জং উনের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি দেশে মহামারীর এই প্রকোপের জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেছিলেন।
করোনা আক্রান্তের তথ্য অস্পষ্ট
উত্তর কোরিয়ায় ঠিক কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, পরিকাঠামোগত অভাব থাকায় উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। করোনার দৈনিক রিপোর্টের পরিবর্তে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন অজানা জ্বরের দৈনিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তার গ্রাফ প্রায় ৪.৭৭ মিলিয়ন পর্যন্ত উঠেছিল। তবে ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে দেশে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কোনও রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়নি বলেই উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সন্দেহ প্রকাশ
উত্তর কোরিয়ার করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘে আমেরিকার এক প্রতিনিধি মার্টিন উইলিয়ামস বলেন, উত্তর কোরিয়ার মানুষদের এটা বোঝানো হচ্ছে করোনা মহামরীর বিরুদ্ধে তাদের দেশ জয় ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে তাদের দেশে করোনায় আক্রান্তের কোনও রোগী নেই। আসলে দেশের মানুষকে করোনা আতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় কোনও ভ্যাকসিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে এত দ্রুত করোনা মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব হল, এই নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ একাধিক প্রশ্ন তুলেছে। তবে উত্তর কোরিয়া তাদের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছে, কঠোর লকডাউনের মতো করোনা বিধি, দেশের উৎপাদিত ওষুধের ওপর ভিত্তি করেই করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।