মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা
জানা গিয়েছে নৌকাটি উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার মার্কা ঘাট থেকে ফতেপুরের দিকে যাচ্ছিল। নৌকায় প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার জন্য নৌকাটি ডুবে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নৌকাটিতে ২০ থেকে ২৫ জন মহিলা ছিলেন। তাঁরা রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হঠাৎ করে নৌকা ডুবে যাওয়ায় বিপত্তি হয়। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন সাঁতার জানতেন। তাঁরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা সাঁতরে পাড়ে এসেছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা। বিকাল চারটের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বান্দা জেলার মার্কা থানার তরফে জানানো হয়েছে।
উদ্ধার কাজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ডুবুরি
উদ্ধার কাজে রজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উপস্থিত হয়েছে। স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আর কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যে উদ্ধারকর্মীরা চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তবে মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা সন্ধের মধ্যেই উদ্ধারকাজ শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে দিনের আলো কমে আসার কারণে উদ্ধারকাজে বাধা পড়ছে। তবে সূর্য ডোবার পরে ডুবুরিরা আর তল্লাশি চালাতে পারবে না। ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল ও পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বান্দা জেলার ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার উদ্ধারকাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।
শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। নৌকাডুবির ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী। যোদী আদিত্যনাথ যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।