আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিকেশ তালিবান জঙ্গিনেতা রহিমুল্লাহ শেখের। আফগানিস্তানে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল। সূত্রের খবর একটি ধার্মিক সভায় এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একজন ব্যক্তি সেই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন যাঁর একটি পা নেই। আর্টিফিসিয়াল পা নিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। সেই আর্টিফিশিয়াল পায়ের মধ্যেই রাখা ছিল বিস্ফোরক। রহিমুল্লাহ কাছে যেতেই তিনি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান।
আফগান গোয়েন্দারা এই খবরের সত্যতা জানিয়েছে। তবে এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নেপথ্যে কে তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই কাবুলেই ড্রোন হামলায় নিকেশ করা হয়েছিল আলকায়দা জঙ্গি নেতা জোয়াহিরিকে। নিজের বাড়ির বারান্দায় ভোর ৬টা নাগাদ তাঁকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। সেই হামলায় হাক্কানিদের বেশ কয়েকজন নেতা মারা গিয়েছেন বলে জানা গিেয়ছি।
তারপরেই কাবুলি ফের তালিবান জঙ্গিনেতাকে নিকেশ করতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো এর নেপথ্যে অন্য কোন যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে তালিবানরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আফগানিস্তান এখন তালিবান শাসনে। গতবছরই ঘানি সরকারের পতন ঘটিয়ে তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করেছে। তারপর থেেক এক প্রকার তালিবানি শাসন চলছে আফগানিস্তানে।
তালিবানি শাসনের মধ্যে একের পর এক বিস্ফোরণ এবং একেবারে তালিবান সাম্রাজ্যে প্রবেশ করে জঙ্গিদের নাকের ডগায় আলকায়দা নেতাকে খতম করেছে আমেরিকা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল এই হামলায়। এবং আগে থেকে জঙ্গি নেতার গতিবিধির উপরে নজর রাখার পরেই হামলা চালানো হয়। আল কায়দা নেতাকে নিকেশ করার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন ২০০১ সালে জঙ্গি হামলায় নিহত প্রায় ৩০০০ পরিবারের সদস্যরা ন্যায় বিচার পেলেন।