এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে ভারত। ভারতীয় ফুটবল দল যাতে ওই প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করে সেজন্য প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। এআইএফএফ চাইছে শক্তিশালী বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলে নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা যাচাই করে নিয়ে তারপর এএফসি এশিয়ান কাপে নামুক ব্লু টাইগাররা।
(ছবি- এআইএফএফ)
তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগামী মাসেই ভিয়েতনামে গিয়ে দুটি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডলি খেলবে ভারত। ইগর স্টিমাচের প্রশিক্ষণাধীন ভারতীয় দল ২২ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামে যাচ্ছে। সেখানে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি খেলবে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফিরে আসবে ভারতীয় দল। বিশ্বে ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী ভারত রয়েছে ১০৪ নম্বরে। ভিয়েতনাম রয়েছে ৯৭ নম্বরে। সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৫৯-এ। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে নামার আগে সিঙ্গাপুর ম্যাচে শক্তি যাচাই করে নিতে পারবেন স্টিমাচ। তিনি বলেন, এই দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে আমরা খুশি। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমাদের দল। সম্প্রতি যে ভালো মানের ফুটবল ভারত খেলছে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলেই মুখিয়ে রয়েছেন।
২০২৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ব্লু টাইগারদের প্রস্তুতি শিবির আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে স্টিমাচের। ভিয়েতনাম রওনা হওয়ার আগে ভারতীয় দল আইএসএলের কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে। উল্লেখ্য, এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপ ডি-র তৃতীয় রাউন্ডে খেলায় ভারত কম্বোডিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন সুনীল ছেত্রী। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এবং তারপর ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় আসে ২-১ গোলে। সেই ম্যাচে সুনীল ছেত্রী ৮৬ মিনিটে গোল করেছিলেন। ৮৮ মিনিটে জুবাইর আমিরি সমতা ফেরানোর পর ইনজুরি টাইমে সাহাল আবদুল সামাদ জয়সূচক গোলটি করেন। এরপর হংকংয়ে ভারত উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। গোলগুলি করেন আনোয়ার আলি, সুনীল ছেত্রী, মনবীর সিং ও ঈশান পণ্ডিতা।