উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদে রাস্তায় খাবারের থালা হাতে দাঁড়িয়ে কাঁদছে উর্দিধারী কনস্টেবল। থালায় রয়েছে কয়েকটি আধপোড়া রুটি আর এক বাটি আধ সেদ্ধ ডাল। এই খাবার নাকি প্রতিদিন পুলিশ মেসে দেওয়া হয় খাবার জন্য। দিনে ১২ ঘণ্টা ডিউটি করে শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাতে পড়ে এই িনম্নমােনর খাবার। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জািনয়েছিলেন তাঁরা। উচ্চ পদস্থ অফিসারদের কাছে অভিযোগ জানিয়েই কোনো কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত উর্দিধারি কনস্টেবল রাস্তায় নেমে জন সমক্ষে তাঁদের এই করুণ অবস্থার কথা জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডি। তাতে দেখা গিয়েছে কনস্টেবল মনোজ কুমার খাবারের থালা হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছেন। েসই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, এক জন পুলিশকর্মী ১২ ঘণ্টা ডিউটি করার পর খাবার খেতে পায়। সেই খাবার যদি খাবাবরের মত না হয় তাহলে কী ভাবে কাজ করবেন তাঁরা। এমন খাবার তাঁদের পুলিশ মেসে দেয়া হয় যে সেটা কুকুরও খেতে চাইবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন যে পুলিশকর্মীরা যাতে পুষ্টিকর খাবার খেেত পারেন সেকারণে তাঁদের ভাতা দেওয়া হয়। তার পরেও তাঁদের এইরকম নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে সেই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগ করেছেন পুলিশ সুপার এবং ডিসিপিদের মদতেই এগুলি হচ্ছে। আলিগড়ের বাসিন্দা কনস্টেবল মনোজ কুমার। তাঁকে ফিরোজাবাদে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।
দিল্লির আইনশৃঙ্খলার আশঙ্কাজনক অবনতি! অজুহাত কী, বিজেপিকে প্রশ্ন করে বিস্ফোরক চিদাম্বরম
কনস্টেবল মনোজ কুমার অভিযোগ করেছেন এই নিম্নমানের খাবার দেওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজারকে অভিযোগ জানালে তিনি তাঁদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তারপরেই তিিন বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দিয়েছেন। তিিন অভিযোগ করেছেন খাবারের িনম্নমান নিয়ে উচ্চপদস্থ অফিসারদের কাছে তিিন বারবার অভিযোগ জািনয়েছেন কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এই একই অবস্থা রয়ে গিয়েছে।