তিন তালাক থেকে অযোধ্যা! একাধিক ঐতিহাসিক মামলায় সাক্ষী বিচারপতি ললিত

দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। গত সপ্তাহে দেশের তৎকালীন সিজেআই এনভি রমন তার উত্তরসূরি হিসাবে ইউইউ ললিতকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বিচারপতি ললিতকে নিয়োগের জন্য সরকারকে সুপারিশ করে ছিলেন। আগামী ২৭ অগাস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

আইন জগতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের। আর সেই অভিজ্ঞতাকেই দেশের কাজে তিনি লাগাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত মুম্বইয়ের গর্ভমেন্ট ল কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। ক্রিমিনাল বিচারের বিশেষত্ব রয়েছে বিচারপতির। দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ললিত। এমনকি সেই তালিকায় তিন তালাককে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক হিসাবেও উলেখ করেছিলেন এই বিচারপতি।

এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বিচারপতি ললিত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি হবেন দ্বিতীয় CJI যিনি সরাসরি বার থেকে সর্বোচ্চ আদালতের শীর্ষে যাচ্ছেন।

এক নজরে বিচারপতি ললিতের গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলি-

BOMBAY HC: ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ। এরপর অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত হলে ১৯৮৩ সালের জুন মাসে। বম্বে হাইকোর্টে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন। একজন আইনজীবীর পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। তাঁর বাবা ইউআর ললিত একজন অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেট ছিলেন। এমনকি বিচারপতি হিসাবেও কাজ সামলেছেন। ফলে আইনজীবী হিসাবে বিচারপতি ললিতের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

SHIFTED TO DELHI: এরপর জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে দিল্লিতে প্রেকটিসের জন্যে চলে আসেন। কর্মজীবনের ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন অ্যাটোর্নি জেনারেল Soli Sorabjee-এর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের।

HIGH-PROFILE CASES: ২০০৪ সালে, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে কাজ শুরু করেন। সিবিআইয়ের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে নিযুক্ত হন। 2G spectrum allocation কেসে যুক্তও ছিলেন। এমনকি একাধিক হাই প্রোফাইল মামলাতে যুক্ত ছিলেন। এমনকি সলমন খানের বিরুদ্ধে black buck case, সিধুর বিরুদ্ধে এমনকি পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকা মামলাতে সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করেছেন বিচারপতি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিয়াবে ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট নিযুক্ত হন।

TRIPLE TALAQ: ২০১৭ সালে এক ঐতিহাসিক রায়। পাঁচ বিচারপতি'র বেঞ্চে তিন বিচারপতিতিন তালাককে অবৈধ এবং অসংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিলেন। তিন তালাকের বিপক্ষে যারা রায় দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিচারপতি ললিত।

PADMANABHASWAMY TEMPLE: কেরলের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের ট্রাস্টিদের আর্জি ছিল কোনও সেবায়েতের হাতেই থাকবে এই মন্দিরের দায়িত্ব। কেরল হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল মন্দিরের সম্পত্তি দেহভাল করবে রাজ্য সরকার গঠিত কমিটি। বিচারপতি ললিতের বেঞ্চ মন্দির কতৃপক্ষের আর্জিকেই মান্যতা দিয়েছিল। ফলে রাজ পরিবারের হাতেই থেকে যায় মন্দিরের দায়িত্ব।

SEXUAL ASSAULT: বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায়কে খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি ললিতের বেঞ্চ। এক বিতর্কিত রায়ে বম্বে হাইকোর্ট বলেছিল ত্বক স্পর্শ না করা হলে যৌন নির্যাতন হয় না। কিন্তু বিচারপতি ললিতের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল ত্বক স্পর্শ হোক বা না হোক যৌন হেনস্তার উদ্দশ্যে আছে প্রমাণ মিললেই তা পক্সো আইনে যৌন নির্যাতন বলেই গন্য হবে।

AYODHYA CASE: অযোধ্যা সংক্রান্ত একটি মামলাতে বিচারপতিদের বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি ললিত। যেহেতু তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের আইনজীবী হিসাবে ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এছাড়াও দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিচারপতি ললিত।

Sarkari Naukri 2022: AIIMS-এ পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ, কীভাবে আবেদন করবেন Sarkari Naukri 2022: AIIMS-এ পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ, কীভাবে আবেদন করবেন

More SUPREME COURT News  

Read more about:
English summary
Justice UU Lalit became chief justice of India, he was part of many historic judgments