করোনা প্রতিষেধক হিসেবে একদিন বুস্টার ডোজে প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য শুধু অনুমোদন পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড। এবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের সঙ্গে অনুমোদন পেল কর্বেভ্যাক্সও। দেশে এই প্রথম বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে কর্বেভ্যাক্সকে। এই টিকা এতদিন একেবারে প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহৃত হত।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর এই মর্মে ছাড়পত্র দিয়েছে কর্বেভ্যাক্সে। ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই কর্বেভ্যাক্স ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যাঁরা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন দিয়ে টিকা নিয়েছেন, তাঁরা বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে সম্মতি প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিকাদান সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের সুপারিশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের তারিখ থেকে ছয় মাস বা ২৬ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর কর্বেভ্যাক্স সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে।
কেন্রেল্র তরফে কর্বেভ্যাক্সকে একটি সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই কর্বেভ্যাক্স টিকা প্রদানের বিষয়টি কো-উইন ইন্টারফেসের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হচ্ছে। এই কর্বেভ্যাক্স হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি আরবিডি প্রোটিন সাবুনিট ভ্যাকসিন। কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০ জুলাই একটি বৈঠকে কোভিড ১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি ডাবল ব্লাইন্ড ব়্যান্ডমাইজড ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল স্টাডি থেকে ডেটা পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। করোনার সতর্কতামূলক বুস্টার ডোজ হিসেবে এই কর্বেভ্যাক্স ইমিউনোজেনিসিটি এবং সুরক্ষা মূল্যায়ন করছে। ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি স্বেচ্ছাসেবক যাঁরা আগে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের শরীর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়।
তথ্য পরীক্ষার পর কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমোদিত গ্রুপ সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান, কর্বেভ্যাক্স বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করে ইতিবাচক ফল মিলেছে। অ্যান্টিবডি টাইটারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এবং করোনার বিরুদ্ধে তা প্রতিরক্ষামূলক ভ্যাকসিন হতে পারে। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিজিসিআই কর্বেভ্যাক্সকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
উল্লেখ্য ১০ জানুয়ারি থেকে ভারত স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের পাশাপাশি ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের সতর্কতা ডোজ দেওয়া শুরু করে। ১৬ মার্চ থেকে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া শুরু করে। ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড ১৯ টিকার প্রফিল্যাকটিক ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।