সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন অনু
গ্রেফতারের পরেই প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন অনু ত্যাগী। সেখানে একের পর এক অভিযোগ করেন। বলেন, বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মার অঙ্গুলিহেলনে পরিবারকে নানাভাবে হেনস্থাকরা হচ্ছে। যদিও সাংসদ শ্রীকান্ত যোগের বিষয় টি অস্বীকার করছেন এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অনু স্পষ্ট জানান, আমার স্বামী বিজেপির কর্মীই ছিলেন। এবং পুরো ঘটনাটিই মহেশ শর্মার নেতৃত্বেই ঘটেছে বলে দাবি অনু ত্যাগীর। শুধু তাই নয়, নির্দেশেই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ।
স্বামী আত্মসমপর্ন করতেন
অনু জানান, প্রথমদিনেই তাঁর স্বামী আত্মসমপর্ন করতেন। কিন্তু একজন ভালো আইনজীবীর খোঁজ চালানো হচ্ছিল। যাতে আইনি সুবিধা পাওয়া যায়। যদি পুলিশ আমাকে আটক করে না নিয়ে যেত পরের দিনই শ্রীকান্ত আত্মসমপর্ন করত বলেই দাবি স্ত্রীয়ের। আর এর ফলে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেরি হয়ে যায় বলে দাবি তাঁর। তবে শ্রীকান্ত আত্মসমপর্ন করেছে বলেও দাবি অনু'র। পুলিশ কোন তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করেনি বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতার স্ত্রীয়ের।
হেনস্তার অভিযোগ করেছেন অনু
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন অনু। নানা ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি বাচ্চাদেরও ছাড়া হইয়নি বলে অভিযোগ অনু ত্যাগীর। তাঁর দাবি, আমাকে শারীরিক ভাবে অত্যাচারনা করা হলেও মানসিক ভাবে নানা ধরণের অত্যাচার করা হয়েছে। যেখানে আমি সম্পূর্ণ ভাবে তদন্তে সহযোগিতা করছিলাম সেখানে যত ধরণের হেনস্থা হয় তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ অনু ত্যাগীর। বারবার আমি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে বলেছি, বাড়িতে আমার বাচ্চারা একা আছে। যেতে দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু কেউ শোনেনি।
এখন কোথায় যোগীজি?
এখন কোথায় যোগীজি? আমি একজন মহিলা নউ? ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতার স্ত্রীয়ের। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বলে রাখা প্রয়োজন, শ্রীকান্ত ত্যাগী নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মহিলাকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। শ্রীকান্ত ত্যাগী বিজেপি নেতা বলে নিজের পরিচয় দেন। নয়ডার সেক্টর ৯৩-তে গ্রান্ড ওম্যাক্সে এক মহিলাকে হেনস্তা করেন। অভিযোগ শ্রীকান্ত ত্যাগী ওই সোসাইটিতে অবৈধ নির্মাণ করছিলেন। সেখানে গাছ লাগানোয় আপত্তি জানিয়েছিলেন সোসাইটির এক মহিলা। আর তা নিয়ে অশান্তির সুত্রপাত। এরপরেই ওই মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে।