রাজ্যসভায় রাজনৈতিক অবস্থান
রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪৫টি। এই মুহূর্তে ৮ টি আসন খালি রয়েছে। অর্থাৎ সদস্য সংখ্যা এই মুহূর্তে ২৩৭। সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য রাজ্যসভায় দরকার ১১৯ টি আসন।
রাজ্যসভায় এনডিএ এবং জেডিইউ
রাজ্যসভায় জেডিইউ-এর আসন সংখ্যা ৫। আর জেডিইউকে বাদ দিয়ে এখন এনডিএ-র আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০। যা ১১৯ থেকে অনেকটাই পিছনে। এনডিএ রাজ্যসভায় অনেকদিন ধরেই সব থেকে বড় জোট হলেও, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
বিজেপির পাশে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল
রাজ্যসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও বিভিন্ন আঞ্চলিক দল বিভিন্ন সময়ে কোনও বিল পাশ করাতে এনডিএ কিংবা বিজেপি পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে, ওড়িশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এরা এনডিএ-র অংশ না হয়েও বিভিন্ন সময়ে এনডিএ তথা বিজেপিকে সাহায্য করেছে রাজ্যসভায়। যার জেরে অনেক বিতর্কিত বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভায়।
তবে রাজ্যসভায় শিবসেনার তিন সাংসদ উদ্ধব ঠাকরের অনুগত হওয়ায় তা কোনওভাবেই এনডিএকে সাহায্য করবে না। একনাথ শিন্ডে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করলেও, রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে তিনি কোনওভাবেই
বিজেপিকে খুশি করতে পারবেন না।
সামান্য পরিবর্তন হতে পারে শীতকালীন অধিবেশনে
তবে শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় এনডিএ-র আসন সংখ্যায় সামান্য কিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মনোনীত তিনটি আসন পূরণ হলে, তার সুবিধা পাবে বিজেপি তথা এনডিএ।
শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভা পাবে তার নতুন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে। যে নীতীশ কুমার আর তার দল জেডিইউকে নিয়ে এত শোরগোল, তাদেরই নিশানা করেছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে
রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী। তিনি বলেছেন, উপরাষ্ট্রপতি হতে চেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু বিজেপি সেই উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করতে দেয়নি। সেই কারণেই নীতীশ কুমার এনডিএ তথা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন
বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত এদিন অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার।