বিধায়কদের সঙ্গে নীতীশ কুমারের বৈঠক
নীতীশ কুমার মঙ্গলবার জেডিইউ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিজেপির জোট থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তে দলের বিধায়করা তাঁকে সমর্থন করেন। বিধায়করা যে কোনও সিদ্ধান্তে নীতীশ কুমারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙলেন। মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিহারের এক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, এই জোটের পরিবেশ মোটেই ভালো ছিল না। এতদিন জোটটি অসুস্থ রোগীর মতো বেঁচে ছিল।
অমিত শাহের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নীতীশ কুমার
বিজেপির একের পর এক ব্যবহারে নীতীশ কুমার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। নির্বাচনের পর নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও অমিত শাহ বিহারের মন্ত্রিসভা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিলেন। বিজেপিতে অমিত শাহের ঘনিষ্টরা বিহারের মন্ত্রীত্ব পান। সেই সময় থেকেই নীতীশ কুমারে অস্বস্তি শুরু হয়। তারমধ্যে বিহারের স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার সঙ্গে নীতীশ কুমারের বিরোধ। নীতীশ কুমারকে ক্রমাগত বিজয় কুমার সিনহা অপমান করেন বলে অভিযোগ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বিজয় কুমার সিনহাকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন নীতীশ কুমার। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্র নেতৃত্ব তা কর্ণপাত করেননি। বিধানসভার একাধিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের নাম থাকত না। বার বার বিজেপির মন্ত্রীদের থেকে অপমানিত হতে হয়েছিল নীতীশ কুমারকে যা বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অনেকটাই দায়ী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরজেডি ও কংগ্রেসের আহ্বান
বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমারের দুরত্ব যত বাড়ছিল, আরজেডি ও কংগ্রেসের ততই ঘনিষ্ঠ হচ্ছিলেন নীতীশ কুমার। সোমবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জাতীয় সহ সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারি জানিয়েছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি কী চাইছি, সেটা এই মুহূর্তের বড় কথা নয়। তবে এই কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না আরজেডি ও জেডিইউয়ের মিলিত আসন সংখ্যা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে। তিনি মন্তব্য করেন, যদি নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে আরজেডি তাঁকে স্বাগত জানাবে। আরজেডি সব সময় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই লড়াইয়ে জেডিইউ সঙ্গ দিতে চাইলে, তাকে স্বাগত।' অন্যদিকে, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলার পরেই তিনি জেডিইউ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দেন।