নীরাজ আমাদের সন্তানের মতো:
আর্শদের কোচ সৈয়দ হুসেন বুখারি জানিয়েছে, তাঁদের কাছে সন্তানের মতো নীরজ চোপড়া এবং নীরজ যদি জেতেন তা হলে ভালবাসায় ভরিয়ে দেবে পাকিস্তান। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুখারি বলেছেন, "অধিকাংশ সময় আর্শদ প্রস্তুতি সারে ইসলামাবাদের জিন্না স্টেডিয়ামে এবং লাহোরে। আমার ইচ্ছা হল লাহোর বা ইসলামাবাদে ভর্তি স্টেডিয়ামে নীরজ এবং আর্শদকে এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা। নীরজ আমাদের ছেলের মতোই।"
মিলখা সিং-এর কথা মনে করিয়ে দেন বুখারি:
১৯৬০ সালে লাহোরে মিলখা সিং-এর কাছে পরাজিত হন পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্প্রিন্টার। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে বুখারি বলেছেন, "এক জন পাকিস্তানি হিসেবে আমি আপনাকে কথা দিয়ে পারি ১৯৬০ সালে লাহোরে আব্দুল খালিককে মিলখা সিং জি হারানোর পর তাঁকে যে ভাবে পাকিস্তান ভালবাসা গিয়েছিল সেই একই ভালবাস আমরা উজার করে দেব নীরজ চোপড়াকে।"
চোটের কারণে কমনওয়েলথ গেমসে খেলেননি নীরজ, ৯০ মিটারের বেশি ছুঁয়ে জ্যাভলিন জেতেন আর্শদ:
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে রূপো এনে দেওয়া নীরজ চোপড়া কমনওয়েলথ গেমস শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে ছিটকে যান প্রতিযোগীতা থেকে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে পাওয়া উরুর চোটের কারণে ছিটকে যান তিনি। কমনওয়েলথ গেমস ২০২২-এর ফাইনালে ৯০.১৮ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে পাকিস্তানকে সোনা এনে দেন আর্শদ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে ৯০ মিটার মার্ক অতিক্রম করেন তিনি।
জ্যাভলিনকে ঘিরে উন্মাদনা বাড়ছে পাকিস্তানে:
জ্যাভলিনকে ঘিরে ভারতের মতোই উন্মাদনা বাড়ছে পাকিস্তানে। বুখারি বলেছেন, "এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ আর্শদ ব্রোঞ্জ জেতার পর টোকিও অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে শীর্ষ স্থানে শেষ করার পর এখন আমি লাহোরের প্রায় প্রতিটা ট্রেনিং গ্রাউন্ডেই ৩০-৪০ জন জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে দেখতে পাই। সম্প্রতি কিছু মাসে খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে এবং পাকিস্তান-চিন বর্ডার থেকে তরুণরা লাহোরে আসছে ট্রায়ালের বিষয়ে জানার জন্য। নীরজ যেটা ভারতের জন্য করেছে, আর্শদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ এবং আজকের রেকর্ড সেই একই কাজ করতে পারে পাকিস্তানের জন্য।"