গুয়াহাটি হয়ে বাংলাদেশে ট্রায়াল অপারেশন
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, IOC -এর তিনটি এলপিজি ট্যাঙ্কার এবং সাতটি পেট্রোল ও ডিজেল ট্যাঙ্কার গুয়াহাটি হয়ে বাংলাদেশে ট্রায়াল অপারেশনের সময় পরিবহন করবে। প্রত্যেক তেল ট্যাঙ্ককারের ক্ষমতা ১২ হাজার লিটার করে জানানো হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ পেট্রোল এবং ডিজেল এই অপারেশনে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
ভিসা ইস্যুর পরেই শুরু ট্রায়াল
IOC -এর এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন অর্থাৎ আইওসি এর সঙ্গে ঢাকায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর তা গত ৩রা অগাস্ট হয়। আর এরপরেই এই ট্রায়াল অপারেশন শুরু হবে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ভিসা ইস্যু হওয়ার পরে, এলপিজি এবং তেলের ট্যাঙ্কারগুলি বাংলাদেশ হয়ে বিকল্প রাস্তায় ট্রায়াল অপারেশনের জন্য এগিয়ে যাবে। এজন্য পুরো প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সারা ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
ট্যাঙ্কারগুলি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে
জানা যাচ্ছে, ট্যাঙ্কারগুলি অসমের গুয়াহাটি থেকে মেঘালয়ের ডুইকি পর্যন্ত যাবে। আর সেখান থেকে ট্যাঙ্কারগুলি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এরপর সেগুলি উত্তর ত্রিপুরার দিকে এগিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, IOC-এর ধর্মনগর ডিপোতে পৌঁছবে বলে জানা যাচ্ছে। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে আগামিদিনে আইওসি ত্রিপুরাতে জ্বালানি পৌঁছতে এই বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করবে। মুলত অপ্রতিকর ঘটনার সময়েই IOC -এর তরফে এই রাস্তা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
সম্পর্ক আরও মজবুত হবে
সংবাদ মাধ্যম পিটিআই জানাচ্ছে,বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় IOC বাংলাদেশের হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি পরিবহনের পরিকল্পনা করে। মে মাসে'ই এই বিষয়ে পরিকল্পনা সরকারি আধিকারিকরা সেরে ফেলেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই বিষয়টি পুরো দমে চালু হয়ে গেলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।