মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অবশেষে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। তার সঙ্গেই জেডিইউ-বিজেপি জোটের অবসান হল। নীতী আয়োগের বৈঠকের দিন থেকেই নীতীশের অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনা আরও পারদ চড়ে সোনিয়া গান্ধী নীতীশের ফোনের পর সেই জল্পনা আরও পারদ চড়ে। শেষ পর্যন্ত জল্পনা সত্যি হল। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার।
নতুন সরকার গঠনের দাবি
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে নীতীশ কুমারের সঙ্গে ছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ১৬০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে নতুন করে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিিন। এই ১৬০ জন বিধায়কই নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানিয়েছেন। সেই তালিকায় মহাজোটের বিধায়কদের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে তেজস্বীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে সরকার গড়া হবে। রাজ্যপালের কাছে তালিকা জমা দেয়ার পরেই তিনি লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে যান। সেখানে রাবড়ি দেবীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি। েসখানে তেজস্বী যাদব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মহাজোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন
বিজেপির সঙ্গে ছেড়ে এবার মহাজোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করতে চলেেছন নীতীশ কুমার। গত কয়েকদিন ধরেই বিহারে রাজনৈতিক সংকট চরমে উঠেছিল। তারপরেই দলের বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার সকাল েথকেই তাঁর বাড়িতে বৈঠক শুরু হয়। সেখানে দলীয় বিধায়কদের কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রকাক ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। নীতীশ জানিয়েছিলেন বিজেপি কেবল তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তাঁদের বিন্দুমাত্র সম্মান দেয়নি।
পাশা উল্টে গেল বিজেপি
নীতীশের দল ভাঙানোর চেষ্টা আর ধোপে টিকল না। জেডিইউ নেতা দল ছাড়তেই টনক নড়েছিল নীতীশের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাবধান হয়ে যান। তারপরে একের পর এক পদক্ষেপ। আসনের অঙ্কের হিসেবে বিজেপির থেকে অনেকাই পিছিয়ে ছিলেন নীতীশ। কারণ বিহারে এবার তেমন ভাল ফল করতে পারেনি জেডিইউ। কেবল মাত্র বিজেপির দৌলতে সরকার গড়তে পেরেছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু সেই জোট বেশি দিন স্থায়ী হল না। মহারাষ্ট্রের কৌশল নেওয়ার আগেই বিজেপির পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন নীতীশ।