বাড়ছে উত্তেজনার পারদ
মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চিন। আগেই বেজিং হুমকি দিয়েছিল, তাইওয়ানের সফরের পরিণাম আমেরিকাকে ভুগতে হবে। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান ছাড়ার পরেই চিন তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাতে থাকে। একদিকে যু্দ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তো অন্যদিকে চিনা নৌবাহিনীর মহড়া। তাইওয়ানকে আশ্বস্ত করতেই চারটি যুদ্ধ জাহাজ আমেরিকা পাঠিয়েছে। তারমধ্যে দুটো যুদ্ধবিমানে বহনে সক্ষম। চিনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, আমেরিকার উস্কানিতেই ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
আমেরিকাকে দায়ী করল চিন
চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমেরিকা দায়ী। এই কারণে আমেরিকাকে জবাবদিহি করতে হবে। যে পরিণতি হবে, তার দায় সম্পূর্ণ আমেরিকার। চিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান জানিয়েছেন, আমেরিকার উচিত চিনের আবেগকে সম্মান করা। তাইওয়ান চিনের অংশ। এটা যত তাড়াতাড়ি আমেরিকা মেনে নেবে, তত ভালো। তবে আমেরিকা ভুল পথে চালিত না হলে, ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাইওয়ান
চিনের সামরিক মহড়ার পর তাইওয়ান বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী অঞ্চলে চিনা সামরিকবাহিনীর ১৩টি নৌকা ও ৩৯টি যুদ্ধ বিমান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী চিনের সামরিক মহড়া পর্যালোচনা করছে। বিমান, নৌযান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত করেছে। বেশ কিছু দেশ সামরিকভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। তাইওয়ান প্রণালী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাইওয়ান প্রণালী চিন ও তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত করেছে। মঙ্গলবারও চিনের সামরিক মহড়া বন্ধ করবে, তা জানা যায়নি। তবে পাল্টা তাইওয়ানের সামরিক মহড়া উত্তেজনার পারদ যে অনেকটাই বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।