মহিলার সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার! কু-মন্তব্য। ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ত্যাগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মীরঠ থেকে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। গত চারদিন ধরে ওই ব্যক্তি পলাতক ছিল। শ্রীকান্তের খোঁজে বিভিন্ন জায়গাতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ।
গোপন সূত্রে জানা দিয়ে এই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শ্রীকান্তের তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। যেখানে এক ব্যক্তি নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করে। এবং এক মহিলার সঙ্গে চূড়ান্ত অভদ্রতা করতেও দেখা যায়। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম শ্রীকান্ত ত্যাগ। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পরে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি বিজেপিকেও অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ছাড়ে শ্রীকান্ত। যদিও তাঁর খোঁজ পেতে একাধিকবার তাঁর স্ত্রীকে জেরা করে পুলিশ। এমনকি উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ এবং অন্তত ১২টি পুলিশের টিম তিনটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। একটা লক্ষ্য, যেভাবে হোক শ্রীকান্তকে হেফাজতে নিতে হবে।
কিন্তু অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া কার্যত চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠছিল পুলিশের কাছে। এই অবস্থায় স্ত্রী মনু ত্যাগীকে নিজেদের হেফাজতেও নেয় পুলিশ। তথ্য অনুযায়ী, শ্রীকান্ত তার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। পুলিশ যখন মনু ত্যাগীকে জেরা করে শ্রীকান্তের খোঁজ বার করার চেষ্টা করছিলেন সেই সময় এই ফোন আসে। আর সেটাই মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে জানা যায়। আর সেই ফোনের সুত্র ধরেই মীরঠ পৌঁছে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেখান থেকেই শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
তবে শ্রীকান্তকে গ্রেফতার করা টা খুব একটা সহজ ছিল না। ঋষিকেশ এবং হরিদ্বারের কাছকাছি একটি এলাকাতে অভিযুক্তের লোকেশন পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে একাধিক পুলিশ আধিকারিক পৌঁছলেও সে পালিয়ে যায়। তবে শ্রীকান্ত তাঁর আসল নম্বরতি বাড়িতে ফেলে যায়। বারবার অন্য একটি নম্বর থেকে তাঁর আইনজীবী এবং সহজোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছিলেন। আর সেটাই বারবার পুলিশকে বেগে ফেলে দিচ্ছিল। তবে পুলিশ জানতে পারে ত্যাগী মিরঠে এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে উঠেছে। কথা ছিল স্থানীয় আদালতে আত্ম সমর্পন করতে পারে। আর সেই সময়ে পুলিশ ত্যাগীকে গ্রেফতার করে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় ত্যাগীকে জেরা করে পুলিশ। জেরায় ত্যাগীর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির যোগসুত্র পুলিশ পেয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। এসপি নেতা স্বামী প্রসাদ মৌজ্যের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ আধিকারিকরা।