কী বলছে পুলিশ ?
রোহতক পুলিশের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার বলেন, "পণ্যের ট্রেনটি দিল্লির শাকুর বস্তি থেকে রোহতক হয়ে সুরতগড়ের দিকে যাচ্ছিল। এতে কয়লা বোঝাই ছিল। এই ঘটনায় সাতটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয় যার পরে ওই রুটে রেল চলাচল ব্যাহত হয়,"
ক্ষতি
তিনি বলেন যে রেল ট্র্যাকের একটি অংশ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এও যোগ করেছেন যে দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। একটি টুইটার বার্তায়, উত্তর পূর্ব রেলওয়ে বলেছে, "উত্তর রেলওয়ের দিল্লি বিভাগের খারাবাদ স্টেশনে একটি পণ্য ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে রেল চলাচল প্রভাবিত হয়েছে।"
কী লেখা হয়েছে টুইটে ?
টুইট লেখা হয়েছে, "ট্রেন নম্বর ১২৪৮২, শ্রী গঙ্গানগর-দিল্লি রেল পরিষেবা, ০৭.০৮.২০২২ তারিখে রোহতক পর্যন্ত চলবে, অর্থাৎ, এই ট্রেন পরিষেবাটি রোহতক-দিল্লির মধ্যে আংশিকভাবে বাতিল করা হবে৷ এর পাশাপাশি ট্রেন নম্বর ১৪৭৩২, ভাটিন্ডা-দিল্লি ট্রেন চলবে রোহতকে। রেল চলাচল এর বাইরেও বাতিল থাকবে।"
দুই রেল দুর্ঘটনা
এই বছরের এপ্রিল মাসে অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের ১০ বগি এদিন লাইনচ্যুত হয় মহারাষ্ট্রের নাসিকের কাছে লাহাবিট এবং দেবলালীর মধ্যে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিকেল ৩.১০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে।মধ্যরেলের সিপিআরও জানিয়েছেন ১১০৬১ এলটিটি-জয়নগর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিকের কাছে। বিকেল ৩.১০ নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন এবং মেডিক্যাল ভ্যান পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধ্য রেলের সিপিআরওজয়নগর হল বিহারের মধুবনী জেলার এতটি শহর। মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাস থেকে ছেড়ে ট্রেনটি জয়নগরে যাচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত এই ট্রেন দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি অঞ্চলের দোমোহনি এলাকা। আচমকা বেলাইন হয়ে গিয়েছিল আপ পটনা-গুয়াহাটি বিকানের এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ৪টি বগি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধার কার্য। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। সেখানে পৌঁছেছিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, পরেশ অধিকারী, বুলুচিক বড়াইক, বিধায়ক খগেশ্বর রায় প্রমুখ । জলপাইগুড়ির জেলা শাসক, আই জি নর্থ বেঙ্গল, এস পি জলপাইগুড়িও ছিলেন।