ধাক্কা সামলালেন জেমাইমা-কৌর
ভারতের ওপেনাররা ২.৪ ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। শেফালি ভার্মা করেন ৭ বলে ১১, স্মৃতি মান্ধানা ৭ বলে ৬। কিন্তু এরপর দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েন জেমাইমা রডরিগেজ ও অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪২। কৌর ও রডরিগেজ যোগ করেন মূল্যবান ৯৬ রান। ১৪.৩ ওভারে রডরিগেজ আউট হন দলের ১১৮ রানের মাথায়। ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
হরমনপ্রীতের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হার
ষোড়শ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ১২১ রানেই ভারত চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট হারায়। পূজা বস্ত্রকার ৫ বলে ১ রান করে আউট হওয়ার পরের বলেই ম্যাচে অ্যাশলেঘ গার্ডনারের তৃতীয় শিকার হন হরমনপ্রীত। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন। সাতটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে তিনি করেন ৪৩ বলে ৬৫। ১৭.৩ ওভারে ১৩৯ রানের মাথায় ভারতের ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। স্নেহ রানা ৬ বলে ৮ রান করে রান আউট হন। সেখান থেকেই শুরু জঘন্য ব্যাটিং বিপর্যয়।
জঘন্য ব্যাটিং
১৮.১ ওভারে রাধা যাদবও রান আউট। তিনি আউট হলে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৪৫। ১৪৯ রানে অষ্টম এবং ১৫২ রানে পড়ে নবম ও দশম উইকেট। মেঘনা সিংও রান আউট হন। দীপ্তি শর্মা ৮ বলে ১৩ রান করে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হতেই ভারতের ভরাডুবি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শেষ ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ভারতের শেষ দুটি উইকেট পড়ে। গার্ডনার তিন ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মেগান স্কাট দুটি এবং ডার্সি ব্রাউন ও জেস জোনাসেন একটি করে উইকেট নেন।
সোনা অধরা
এর আগে, বেথ মুনির ৬১ ও মেগ ল্যানিংয়ের ৩৬ রানের দৌলতে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ৮ উইকেটে ১৬১। স্নেহ রানা ও রেণুকা সিং নেন দুটি করে উইকেট। দীপ্তি শর্মা ও রাধা যাদব একটি করে উইকেট নেন। ভারতীয় দলে প্রথম চার ব্যাটারের পর থেকেই যে বাকি ব্যাটাররা দুর্বল তা আরও একবার প্রকট হলো এদিনের ফাইনালে। সে কারণেই জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে আসতে হলো। ২ উইকেটে ১১৮ থেকে ১৫২ রানে অল আউট, তাও পুরো ২০ ওভার না খেলতে পেরে। ভারতের শেষ আটটি উইকেট পড়ল ৩৪ রানে। অস্ট্রেলিয়াকে ফেভারিট মানতে চাননি স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু মাঠে জবাব দিতে পারল না হরমনপ্রীত অ্যান্ড কোম্পানি। মহিলাদের টি ২০-তে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবার কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম মহিলা ক্রিকেটেই সোনা জিতে স্মরণীয় করে রাখল। ২০২০ সালে টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েই খেতাব জিতেছিল অজিরা।