ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক জোট
বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক জোট ১২৫ টি আসন জিতেছিল, যার মধ্যে বিজেপি ৭৪টি, নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) ৪৩টি, বিকাশশীল ইনসান পার্টি ৪টি এবং হিন্দুস্তান আওয়াম পার্টি (ধর্মনিরপেক্ষ) ৪টি আসন পেয়েছিল। এটি এনডিএকে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১২২- আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যাুয় পৌঁছে দিয়েছিল।
আরজেডি
অন্যদিকে, আরজেডি এবং তার সহযোগীরা ১১০টি আসন জিতেছিল। আরজেডি ৭৫টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে শেষ করে যেখানে কংগ্রেস মাত্র ১৯টি আসন জিতেছিল।
বাম
বাম দলগুলো যে ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, তার মধ্যে তারা ১৬টিতে জিতেছিল, যার মধ্যে সিপিআই (এমএল-লিবারেশন) ১২টিতে জিতেছিল। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম রাজ্যের সীমাঞ্চল অঞ্চলে পাঁচটি আসন জিতেছিল। এর চারজন বিধায়ক আরজেডিতে চলে গিয়েছেন। চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি মাত্র একটি আসন জিতেছিল।
ক্ষুব্ধ নীতীশ
বিজেপির ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ নীতীশ কুমার বিজেপির একের পর এক ব্যবহারে নীতীশ কুমার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। নির্বাচনের পর নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলেও অমিত শাহ বিহারের মন্ত্রিসভা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিলেন। বিজেপিতে অমিত শাহের ঘনিষ্টরা বিহারের মন্ত্রীত্ব পান। সেই সময় থেকেই নীতীশ কুমারে অস্বস্তি শুরু হয়। তারমধ্যে বিহারের স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার সঙ্গে নীতীশ কুমারের বিরোধ। নীতীশ কুমারকে ক্রমাগত বিজয় কুমার সিনহা অপমান করেন বলে অভিযোগ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বিজয় কুমার সিনহাকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন নীতীশ কুমার। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্র নেতৃত্ব তা কর্ণপাত করেননি। বিধানসভার একাধিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের নাম থাকত না। বার বার বিজেপির মন্ত্রীদের থেকে অপমানিত হতে হয়েছিল নীতীশ কুমারকে যা বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য অনেকটাই দায়ী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সবমিলিয়ে বিহার রাজনীতিতে যেন মহারাষ্ট্রের ছায়া।