জেডিইউ ছেড়েছেন আরসিপি সিং
আরসিপি সিং আইএএস ছেড়ে জেডিইউতে যোগ দিয়েছিলেন বছর বারো আগে। তিনিই শনিবার জেডিইউ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একদিকে যেমন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নীতীশ কুমারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই আরসিপি সিংকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিল, অন্যদিকে
জেডিইউ তাঁকে রাজ্যসভায় তৃতীয়বারের জন্য মনোনয়ন দেয়নি। এর পরেও দুর্নীতির ব্যাখ্যা চেয়ে দলীয় নেতৃত্বের পাঠানো একটি চিঠি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়।
বিহারেও মহারাষ্ট্র ফর্মুলা
সেই পরিস্থিতিতে বিহারেও মহারাষ্ট্রের ফর্মুলা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী আরসিপি সিং-এর সঙ্গে জেডিইউ বিধায়কদের একটা অংশের যোগাযোগ রয়েছে।
ফলে আরসিপি সিং বিহারের একনাথ শিন্ডে হয়ে উঠতে পারবেন কিনা, তা সময়ই বলবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে জেডিইউকে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে এবং বিজেপির মোকাবিলা করতে হবে।
একটা সময়ে আরসিপি সিংকে নীতীশ কুমারের খুব কাছের বলে মনে করা হত। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করার পরে নীতীশ কুমারের উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, সাতবার জন্ম নিলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের ডাক নীতীশের
নীতীশ কুমার জেডিইউ-এর সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মঙ্গলবার। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জল্পনার মধ্যে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে
রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের ভবিষ্যৎ ঠিক করা হবে। অনেকেই বলছেন, আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে বিহারে বড় রাজনৈতিক পালাবদল সামনে আসতে পারে।
সোনিয়ার সঙ্গে ফোনে কথা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার নীতীশ কুমার বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি কথা বলেছেন তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির প্রশ্নে তিনি ফের মহাজোটে ফিরে
আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থনে সরকার টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিহার বিধানসভায় কার দখলে কটি আসন
বিহার বিধানসভায় আসন সংখ্যা ২৪৩ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ টি আসন। গত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ১২৫ টি আসনে জয় পায়। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৭৪ টি আসন। জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩ টি আসন।
অন্যদিকে আরজেডির নেতৃত্বে মহাজোট পেয়েছিীল ১১০ টি আসন। বিজেপির ক্ষেত্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে ৪৮ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন। যা জেডিইউ-এর আসন সংখ্যার থেকেও বেশি। সে ক্ষেত্রে আরসিপি সিং কতটা একনাথ শিন্ডের মতো
হয়ে উঠতে পারবেন, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে।