তৃণমূলের সমালোচনায় কংগ্রেস
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, তৃণমূলের আলভাকে সমর্থন করেনি। অত্যন্ত খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। কংগ্রেস মনে করছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বৃহত্তম দল। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নির্বাচনের সময় তৃণমূলকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। সেই কারণেই তৃণমূল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল কাছাকাছি এসেছিল। তারা বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা সমর্থন করেন। কিন্তু পাল্টা মার্গারেট আলভাকে সমর্থন না করে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল যে তিক্ততা বাড়াল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ধনখড়কে শুভেচ্ছা তৃণমূল সাংসদের
ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, 'আশা করছি ও প্রার্থনা করছি যাঁরা আপনাকে ভোট দিয়েছেন ও সমর্থন করেছেন এবং যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, ভোট দেননি বা দিতে পারেননি, তাঁদের প্রত্যাশা আপনি পূরণ করবেন।' লোকসভা নির্বাচনে বেশি দিন বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে বিশ্বাসে আঘাত করছে, তাতে বিরোধী ঐক্যের ওপর প্রভাব ফেলবে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে বিরোধীদের জোটের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, সেখানেও সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস ও তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কা
গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আপ লড়াই করার চেষ্টা করছে। একইভাবে সামনের বছর নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে তিক্ততা আরও বাড়তে পারে। এই রাজ্যগুলোতে তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনগুলোয় নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এতে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ করে দিচ্ছে।