|
জমজমাট ফাইনাল
পুরুষদের সিঙ্গলস ফাইনালের প্রথম গেম শরথ কমল হেরে গিয়েছিলেন ১১-১৩ গেমে। যদিও ইংল্যান্ডের লিয়াম পিচফোর্ডকে পরের তিনটি গেমে তিনি পরাস্ত করেন। এই তিনটি গেম ভারতের টিটির কিংবদন্তি শরথ কমল জিতে নেন যথাক্রমে ১১-৭, ১১-২ ও ১১-৬ ব্যবধানে। পঞ্চম গেমটিতেও শুরু থেকেই দাপট বজায় রাখেন অভিজ্ঞ শরথ কমল। তবে মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন পিচফোর্ড।
|
শরথের সোনা
যদিও তুল্যমূল্য লড়াই শেষে বছর চল্লিশের শরথ কমল নির্ণায়ক গেমটি জিতে নেন। এই গেমটিতে তিনি জেতেন ১১-৮ ব্যবধানে। ২০০৬ সালে মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলসে সোনা জিতেছিলেন শরথ কমল। এরপর সিঙ্গলসে সোনা তাঁর কাছে অধরাই ছিল, যে প্রতীক্ষার অবসান ঘটল আজ। ১৬ বছরের ব্যবধানে শরথ কমল সিঙ্গলসে জিতলেন সোনা। সব বিভাগ মিলিয়ে এই নিয়ে ভারতীয় প্যাডলারের দখলে এলো সপ্তম কমনওয়েলথ গেমস সোনা।
|
১৬ বছর পর সিঙ্গলসে সোনা
শরথ কমল ২০০৬ সালের মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের সিঙ্গলসের পাশাপাশি পুরুষদের দলগত বিভাগে সোনা জিতেছিলেন। ২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে তিনি পুরুষদের ডাবলসে সোনা জেতেন, সিঙ্গলস ও দলগত বিভাগে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে শরথ কমল সোনা জিততে পারেননি। তবে পুরুষদের ডাবলসে রুপো জেতেন। ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি পুরুষদের দলগত বিভাগে সোনা জেতেন, ডাবলসে জেতেন রুপো এবং সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।
সবচেয়ে বেশি পদক
কোনও একটি কমনওয়েলথ গেমস থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি পদক জিতলেন শরথ কমল। পুরুষদের সিঙ্গলস, দলগত বিভাগ ও মিক্সড ডাবলসে তিনি সোনা জিতলেন। পুরুষদের ডাবলসে জি সাথিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে জিতলেন রুপো। এর ফলে পাঁচটি কমনওয়েলথ গেমস থেকে তিনি সাতটি সোনা এবং তিনটি করে রুপো ও ব্রোঞ্জ জিতলেন।
ব্রোঞ্জ সাথিয়ানের
এর আগে, ব্রোঞ্জ দখলের লড়াইটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। ইংল্যান্ডের পল ড্রিঙ্খলের বিরুদ্ধে সাত গেমের লড়াই তিনি জেতেন ৪-৩ ব্যবধানে। প্রথম তিনটি গেম সাথিয়ান জিতে গিয়েছিলেন যথাক্রমে ১১-৯, ১১-৩ ও ১১-৫ ব্যবধানে। তবে পরের তিনটি গেম ড্রিঙ্খল জিতে নেন ১১-৮, ১১-৯, ১২-১০ ব্যবধানে। নির্ণায়ক সপ্তম গেমটি সাথিয়ান ১১-৭ ব্যবধানে জিততেই নিশ্চিত হয় ব্রোঞ্জ।