৪৮ ঘন্টা বিহারের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ
আগামী ৪৮ ঘন্টা বিহারের রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নীতীশ কুমার আবার মহাজোটে ফিরতে পারেন বলে মনে করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি ছাড়া বাকি সব দল বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছে। প্রসঙ্গত মঙ্গলবারেই সাংসদ ও বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন নীতীশ কামার। এই বৈঠকেই নীতীশ কুমার গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েকমাস ধরে বিজেপি-নীতীশ সম্পর্কে শীতলতা
গত কয়েকমাস ধরেই বিজেপির সঙ্গে নীতীশ কুমারের সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়েছে। নীতি আয়োগের সভায় নীতীশ কুমারের অনুপস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা পরপর চারটি সভার শেষ তম ছিল। এর আগে ১৭ জুলাই নীতীশ কুমার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদী আয়োজিত রামনাথ কোবিন্দের বিদায়ী ভোজসভায় আমন্ত্রণের পরেও যাননি নীতীশ কুমার। তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও।
বিজেপির অবস্থানে খুশি নন নীতীশ
বিজেপির বিহার নিয়ে অবস্থানে খুশি নন নীতীশ কুমার। প্রসঙ্গত বিজেপি বিহারের ২০০ টি বিধানসভা আসনের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়াও তারা বার্তা দিয়েছে, ২৪৩ টি আসনে তারা একাই লড়াই করতে চায়। যা নীতীশ কুমারের কাছে চ্যালেঞ্জের। এর জবাবে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং জানিয়েছেন, তারাও ২৪৩ টি আসনে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বেশিরভাগ জেডিইউ বিধায়ক মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিরুদ্ধে। সেই কারণে নীতীশ কুমার ক্ষমতা ধরে রাখতে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে ফের হাত মেলাতে চান। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন ১১ অগাস্টের আগেই বিহারের এনডিএ সরকারের পতন হতে পারে। সরকার গড়তে নীতীশ কুমার প্রাক্তন সহযোগী আরজেডির সঙ্গেও হাত মেলাতে পারেন বলেও মনে করছেন তাঁরা।
বিহারে মহাজোটের ভাঙা-গড়া
২০১৫-তে নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটের অংশ হয়েছিলেন। মহাজোট ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীও হন। কিন্তু ২০১৭-তে মহাজোট ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গ নেন নীতীশ কুমার। বহাল থেকে যান মুখ্যমন্ত্রীর পদে। এরপর ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে কম আসনে জয়ী হয়েও তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন।