ভারতের তিন পরিবর্তন
বৃষ্টি ও তার জেরে মাঠ ভিজে থাকায় শনিবার খেলা শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরাণ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ভারতীয় দলে এই ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হার্দিক পাণ্ডিয়া ও শ্রেয়স আইয়ারকে বসিয়ে সুযোগ দেওয়া হয় রবি বিষ্ণোই, অক্ষর প্যাটেল ও সঞ্জু স্যামসনকে। সোমবার এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের আগে এই ক্রিকেটাররা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পান।
টার্গেট ১৯২
ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯১ রান। ৬টি চারের সাহায্যে চারে নেমে ঋষভ পন্থ ৩১ বলে সর্বাধিক ৪৪ রান করেন। দুটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে রোহিত শর্মা ১৬ বলে ৩৩ রান করেন। সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২৪, দীপক হুডা ১৯ বলে ২১ রান করেন। দীনেশ কার্তিক ৯ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। সঞ্জু স্যামসন ২৩ বলে ৩০ ও অক্ষর প্যাটেল ৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ওবেদ ম্যাককয় ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি উইকেট পেলেও ৬৬ রান খরচ করেন। ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট পেয়েছেন আলজারি জোসেফ। আকিল হোসেন নেন একটি উইকেট।
|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার
জবাবে খেলতে নেমে ঝোড়ো শুরু করলেও ১.৪ ওভারে ১৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় ক্রমেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় নিকোলাস পুরাণের দল। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক এবং রভম্যান পাওয়েল দুজনেই ২৪ রান করে আউট হন। শিমরন হেটমায়ার ১৯, জেসন হোল্ডার ও ব্র্যান্ডন কিং দুজনেই ১৩ এবং কাইল মেয়ার্স ১৪ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। শেষ অবধি ১৯.১ ওভারে ১৩২ রানেই গুটিয়ে যায় ২০১৬ টি ২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। অর্শদীপ সিং ৩.১ ওভারে ১২ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপ ও টি ২০ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার নিরিখে নিজের দাবি জোরালো করে ফেললেন। আবেশ খান ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। অক্ষর প্যাটেল ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান রবি বিষ্ণোই ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ভুবনেশ্বর কুমার ৩ ওভারে ২১ ও দীপক হুডা ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
রোহিত খুশি
ম্যাচের পর ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, যেভাবে আমরা ম্যাচটি খেলেছি তা সত্য়িই ভালো। পরিবেশ ও পরিস্থিতি সহজ ছিল না। তারপরও আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়েছে। বোলিংও ভালো হয়েছে। পিচ খুবই মন্থর ছিল। সেই নিরিখে ভালো স্কোরই আমাদের হয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের কাছে কোনও রানই নিরাপদ নয়। তবে আমরা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট ফেলতে পারায় কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছে। আবেশ খানের প্রতিভার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। একটা বা দুটো ম্যাচ কারও খারাপ যেতেই পারে। তবু প্রত্যেককে আমরা পর্যাপ্ত সুযোগ দিই। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে আবেশ বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনেছেন।
|
আবেশ সেরা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন আপকে বেকায়দায় ফেলে ভারতের জয় নিশ্চিত করায় বড় অবদান রেখে আবেশ খানই ম্যাচের সেরা। তিনি বলেন, গত দুটি ম্যাচে ভালো খেলতে পারিনি, তারপর এদিনের বোলিংয়ে ভালো লাগছে। হার্ড লেংথে বল করেছি। কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং থাকেন। আর একটি ম্যাচ রয়েছে, সেটাতেও ফোকাস রাখছি। বল এই উইকেটে থমকে ব্যাটারদের কাছে পৌঁছাচ্ছিল। তাই হার্ড লেংথ বলের সঙ্গে স্লোয়ার বল মিশিয়ে দিই। রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।