বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে প্রশ্ন চিহ্ন
বিজেপির সঙ্গে নীতিশ কুমারের সম্পর্কের অবনতির শুরুটা হয়েছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব নিয়ে নীতীশ কুমারের দাবি মানেনি বিজেপি।
নাম মাত্র প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব দিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
নীতীশ কুমারের দলের নেতা মোদী মন্ত্রিসভায়
এছাড়াও বিজেপির প্রতি নীতীশ কুমারের ক্ষুব্ধ হওয়ার ওপর কারণ হল কোনও আলোচনা ছাড়াই আরসিপি সিংকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া। সেই আরসিপি সিংকে গত মাসে আরেক বারের জন্য রাজ্যসভায় যাওয়ার সুযোগ দেয়নি জেডিইউ। যে কারণে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। অন্যদিকে শনিবার আরসিপি সিং জেডিইউ ত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে আরসিপি সিং বলেছেন, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় ষড়যন্ত্র চলছে। একসময়ের আইএএস অফিসার আরসিপি সিং জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতিও ছিলেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, নীতীশ কুমার তার সাত জীবনেও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তিনি জেডিইউকে ডুবন্ত জাহাজ বলেও বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে জেডিইউ-এর সম্পত্তি নিয়ে করা অভিযোগই অস্বীকর করেছেন।
বিজেপিকে হুমকি দিয়েও অবস্থান বদল
এরই মধ্যে জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন (লালন) আরসিপি সিং-এর আক্রমণে পাল্টা মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপিকেই আক্রমণ করে বসেন। যদিও পরে তিনি তাঁর অবস্থান সংশোধন করেন।
সাংবাদিকদের রাজীব রঞ্জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদানের প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি বলেছেন, ২০১৯-এ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অংশ নেবে না। তিনি আরওবলেছেন অদূর ভবিষ্যতেও তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদান করবেন না। এই মন্তব্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে জেডিইউ বিজেপির সঙ্গে তৈরি হওয়া ফাটল মেরামতি করতে চায় না, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপির ওপরে চাপের খেলা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নীতীশ কুমারের সহযোগী রাজীব রঞ্জনের এই ধরনের মন্তব্য বিজেপির ওপরে চাপ তৈরির খেলা। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর দাবি পূরণে চাপ। কেননা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিধানসভারঅধ্যক্ষ বিজয় কুমার সিংয়ের অপসারণ দাবি করেছেন। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেননি। বিজেপির একটি অংশ এই বিষয়টিকে নীতীশ কুমারের ক্ষোভের অন্যতম অংশ বলেই বর্ণনা করেছে।