ভারত ও আমেরিকার সেনাবাহিনীর ‘যুদ্ধ অভ্যাস’
ভারত ও আমেরিকা একাধিকবার যৌথভাবে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় ভারত-মার্কিন সেনা বাহিনীর যৌথ মহড়া এই প্রথম। যার জেরে এই যৌথ মহড়ার দুই দেশের সেনাবাহিনীর জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এত উচ্চতায় যুদ্ধের কৌশল দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আদানপ্রদান হবে। ভারত ও আমেরিকার বার্ষিক যৌথ মহড়া যুদ্ধ অভ্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে ভারত ও আমেরিকার এটি ১৮ তম যৌথ সামরিক মহড়া। এর আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। এই যৌথ সামরিক মহড়ায় বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির সামরিক কৌশল এখানে অনুশীল করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
চিন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা
এলএসি বরাবর ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এক মাস ধরে এলএসি সীমান্ত বরাবর চিনের যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গিয়েছিল। যার জেরে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে। পাল্টা জবাব ভারতীয় সেনারাও দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, সীমন্তে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের কেউ যুদ্ধ বিমান ওড়াতে পারবে না। কিন্তু চিনের যুদ্ধবিমানকে সীমন্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে উড়তে দেখা যায়। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর উত্তেজনা দেখা দেয়। মূলত এলএসি বরাবর সীমান্তে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দেশের সেনাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে একাধিক বৈঠক হয়। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠর হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের ব্যাপক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আমেরিকা ও চিনের উত্তেজনা
মার্কিন কংগ্রেসের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর শেষ হওয়ার পরেই চিন সামরিক মহড়া শুরু করে। তাইওয়ান প্রণালীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। জানা যায়, তাইওয়ান উপকূলের ১০ কিলোমিটার দূরে চিন সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে চিন। যা তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চিনের শতাধিক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। পাল্টা আমেরিকাও দ্বীপরাষ্ট্রটির কাছে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। তারমধ্যে দুটি যুদ্ধ বিমান পরিবহণে সক্ষম। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো, রবিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চলবে।