নির্ধারিত সময়ে খেলা এবং শেষ মিনিটে নাটক:
নির্ধারিত সময়ের শুরু থেকেই ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ ছিল ভারতের দখলে। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সালিমা তেতে। তাঁর এই গোলের পর প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে আরও চেপে ধরে ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ১৪তম মিনিটে গোলটি তিনি করেন। উল্লেখ্য, শেষ চার মিনিট নিজেের গোলরক্ষককে নিউজিল্যান্ড সরিয়ে দিলেও ভারত গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে নিউজিল্যান্ড সমতায় ফেরে। নাটকীয় মোড় তৈরি হয় ম্যাচে।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর পদক এল মহিলা হকিতে:
এই পদক জয়ের সঙ্গেই দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। দীর্ঘ সময় পর অবশেষে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতল ভারতের মহিলা দল।শেষ বার ভারতীয় মহিলা দল কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতেছিল ২০০৬ সালে। ওই সংস্করণে রূপো জিতেছিল ভারতীয় মহিলা দল। ২০০২ ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় মহিলা দল সোনা জিতেছিল।
শ্যুট আউটে পিছিয়ে থেকে ফিরে আসা:
শ্যুট আউটে প্রথম শটে গোল করে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শ্যুট আউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে মিস করেন সঙ্গীতা কুমারী। দ্বিতীয় শট নিউজিল্যান্ডের হোফ রাফ মিস করলে সনিকার গোলে সমতা ফেরায় ভারত। কিন্তু এর পর নিউজিল্যান্ডের লাগাতার দুইটি শট দুর্দান্ত দক্ষতায় সেভ করেন গোলরক্ষক সবিতা পুনিয়া। ভারতের হয়ে ম্যাচের জয় সূচক গোলটি পেনাল্টি শ্যুট আউট থেকে করেন নভনীত।
হাতছাড়া হয় ফাইনালে খেলার সুযোগ:
সেমিফাইনালে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত, বাহ্যিক ত্রুটি এবং ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় ফাইনালে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয় ভারতীয় মহিলা হকি দলের। ব্রোঞ্জ জেতার সুযোগ ছিল ভারতীয় মহিলা হকি দলের সামনে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে জিতলেই পদক নিয়ে পদক জেতার সুযোগ ছিল ভারতের প্রমীলা বাহিনীর সামনে। এই কাজটাই দক্ষতার সঙ্গে করে দেখাল ভারতীয় মহিলা হকি দল।