কী ছিল ভাইরাল ভিডিওতে
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখে পাওয়া গিয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয়ের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এক পুলিশকর্মীকে ঘিরে রেখেছেন। তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে। লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। ওই পুলিশকর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে মারধরের হার বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে পুলিশকর্মীকে লাঞ্ছনার ঘটনাকে অনেককে ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেউ ঘটনার কোনও প্রতিবাদ করেননি। নীরব দর্শক হয়ে পুলিশকর্মীকে লাঞ্ছনার এই ঘটনা উপভোগ করে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দিল্লির আনন্দ বিহার থানায় এই ঘটনা ঘটেছে। লাঞ্ছিত হওয়া পুলিশকর্মী আনন্দ বিহার থানার হেড কনস্টেবল হিসেবে পরিচিত।
দিল্লি পুলিশের প্রতিক্রিয়া
একজন পুলিশ কর্মীকে এভাবে লাঞ্ছনার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রধান অভিযুক্ত ২৯ বছরের সতীশ কুমার। তিনি দিল্লির কারকারডুমা গ্রামের বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশ থানার ভিতর এই ঘটনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে কি না, তা জানা যায়নি।
কী হয়েছিল থানার ভিতর
পুলিশ সূ্ত্রের খবর, ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাদের কাছে খবর আসে কারকারডুমা গ্রামে এক মহিলাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অভিযোগ ওই মহিলার গলা থেকে সোনার চেন টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। অজয় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সেই সময় অজয় মদ্যপ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যায় আঁচল বক্সি ও অজয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ। ঘটনার তদন্তে আরও কয়েকজন গ্রামবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। সেই সময় অজয়ের ভাই সতীশ থানায় আসেন। তিনি থানার পুলিশ আধিকারিকদের উত্তেজিত করেন। থানার হেড কনস্টেবল প্রকাশ থানায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় সতীশ ও তাঁর অনুগামীরা প্রকাশকে ঘিরে মারধর করে। গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ।