তৃণমূল কংগ্রেস ভিনরাজ্যের নজর দিয়েছিল বাংলায় একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে। প্রথম টার্গেট ছিল ত্রিপুরা। কেননা এ রাজ্যে আগেই তৃণমূলের একটা ইউনিট ছিল। একটা সময় রাতারাতি এই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। এবার নতুন করে শুরু করে ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য কমিটি তৈরি করেছে তারা। এবার যুব কমিটিও করে ফেলল তৃণমূল।
১
ত্রিপুরায় যুব কমিটি তৃণমূলের
সম্প্রতি উপনির্বাচনে তৃণমূল সে অর্থে সাফল্য পায়নি। পুরসভা নির্বাচনে যেখানে ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে চমক দিয়েছিল তৃণমূল, সেখানে উপনির্বাচনে মাত্র ২ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। তাবলে হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। সংগঠন বাড়িয়ে তাঁরা ২০২৩-এর নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় যুব কমিটি গড়ে বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
২
আসন্ন নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল
তৃণমূল চাইছে যুব সমাজের কল্যাণ ও উন্নয়নকে সামনে রেখে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে জিততে। সোই লক্ষ্য নিয়ে শনিবার রাজ্য যুব কমিটি গঠন করে ফেলল ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেই রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তৃণমূল যেভাবে সংগঠনের শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছে, তাতে স্পষ্ট আসন্ন নির্বাচনে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে কোমর বেঁধে।
৩
কমিটিতে কোন পদে কত জন
এদিন তৃণমূলের তরফে ঘোষণা করে দেওয়া হয় কমিটি। ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হন শান্তনু সাহা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে বসছেন ৫ জন। সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন ৬ জন এবং সম্পাদক পদে বসছেন ১২ জন। আর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ৯ জনকে রাখা হয়েছে।
৪
মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে
এদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে শান্তনু সাহা বলেন, যাঁরা নতুন প্রদেশ কমিটি ও জেলা সভাপতি হচ্ছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এই রাজ্যের বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় যুব সমাজের স্বার্থে, সকল মানুষের স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে ব্রতী হবেন। তিনি বলেন, আমরা লড়াই করব প্রতিটি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য।
৫
পথেই হবে এ পথ চেনা
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এজন্য প্রতিটি ব্লকে ব্লকেআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় সমস্যা নিয়ে মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করতে হবে। প্রচারে নামতে হবে মানুষকে সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের আশ্বাস দিতে। কীভাবে মানুষ সুষ্ঠু পরিষেবা পেতে পারে, তা মানুষকে বোঝাতে হবে। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার যে মানুষকে শোষণ করছে, তা বোঝাতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুকে নিয়ে পথে নামতে হবে।