সুইসাইড নোটে অভিযোগ
সংবাদ মাধ্যমের কাছে সন্ত রবিনাথের যে সুইসাইড নোট এসেছে, সেখানে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সুইসাইড নোটের জমি বিবাদের কথাও উ ল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করে গিয়েছিলেন ওই সন্ত।
অভিযুক্ত পুলিশও
অন্যদিকে অন্য সন্তরা পুলিশের পুলিশের বিরুদ্ধে সুইসাইড নোট লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তারা রাজপুরা গ্রামের সুন্থা মাতা মন্দিরের কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সন্তের দেহ নিতেও অস্বীকার করেছেন। এদিকে এই আত্মহত্যার ঘটনার পরে আশ্রমের আশপাশের আরও পুলিশ মোতায়েন তরা হয়েছে।
রাস্তা তৈরি নিয়ে বিরোধ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আশ্রমের পিছনের জমির মালিক বিজেপি বিধায়ক পুর রাম চৌধুরী। ওই বিধায়ক আশ্রমের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করলে বিরোধী দেখা দেয়। দিন কয়েক আগে বিধায়ক আশ্রমের জমি মাপতে কয়েকজনকে পাঠান। যা নিয়ে সন্ত রবিনাথ বিরক্ত হয়েছিলেন।
অভিযোগের জবাবে বিজেপি বিধায়কের জবাব ছিল, আশ্রমের পিছনে তার বাণিজ্যেক জমি রয়েছে। যা তিনি ৩০ বছর আগে কিনেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন নিজের জমিতে একটি রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা তিনি করেছেন। সেই কারণে বৃহস্পতিবার তহশিলদারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পরে সরকারি আধিকারিক সেখানে গিয়েছিলেন জমির মাপ করতে। পাশাপাশি বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছেন, কিছু দিন আগে পর্যন্ত তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে ওই সন্তের কোনও আপত্তি ছিল না। তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ ছিল না বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা।
রাজস্থানে আগেও সন্তের আত্মহত্যা
তবে এই বৃহস্পতিবারই শুধু নয়, গত মাসের ২১ তারিখ রাজস্থানের ভরতপুরে আরও এক সন্ত আত্মহত্যা করেছেন। অবৈধ খননের প্রতিবাদ করে বিজয় দাস নামে ওই সন্ত গায়ে আগুন দেন। দুদিন পরে তিনি মারা যান। ভরতপুরের লর্ড কৃষ্ণ তীর্থ ক্ষেত্রের ব্যাপক খননের বিরুদ্ধে গত ৫৫০ দিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। ২১ জুলাই ভরতপুরে সন্তের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজস্থান সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।