সরকার দেশবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে
অমিত শাহের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'বিজেপি তাদের একমাত্র অস্ত্র রামকে অবলম্বন করে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।' তিনি বলেন, 'রামের নামে সরকার রাবনের পুজো করছে।তাদের শাসনে দেশবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই সরকার জনবিরোধী ও কর্পোরেটপন্থী।' এর আগে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ অমিত শাহের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। টুইটারে জয়রাম রমেশ বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জিএসটির বিরুদ্ধে আজকের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে বিমুখ, বিভ্রান্ত ও মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করার একটা মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র একজন অসুস্থ মনের একজন মানুষই এই ধরনের চেষ্টা করতে পারেন। তিনি প্রতিবাদের ইস্যুগুলো থেকে মানুষের মন ঘোরাতে চেয়েছেন।'
কী বলেছেন অমিত শাহ
কংগ্রেসের বিক্ষোভের বিরোধিতা করে অমিত শাহ বলেন, 'কংগ্রেস ইচ্ছা করে দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্য ৫ আগস্ট বেছে নিয়েছিল। এদিন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। শুক্রবার বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেস একটা সূক্ষ বার্তা দিতে চেয়েছিল। কংগ্রেস এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে রাম মন্দিরের বিরোধিতা করছেন। ৫৫০ বছরের পুরনো অশান্তির সমাধান আদালতে হয়েছে। এই সমাধানে দেশ জুড়ে কোথাও কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি। কিন্তু আজকে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের বার্ষিকীতে কংগ্রেস বিক্ষোভের মধ্যে যে বার্তা দিতে চাইছে, তা সকলের কাছে স্পষ্ট।'
কংগ্রেসের বিক্ষোভ
কংগ্রেস গত এক সপ্তাহ আগে থেকে এই দিন প্রতিবাদ দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। মূলত জিএসটি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। বিক্ষোভের সময় কংগ্রেসের নেতারা কালো পোশাক পরেছিলেন। এই বিক্ষোভের অনুমতি দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি। তারপরেও কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ মিছিলটি রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলটি থামানোর চেষ্টা করে। পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে অনেকেই নিন্দা করেছেন দিল্লি পুলিশের।