রাজস্থানে এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম জগদীপ ধনখড়ের।
রাজস্থানে এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম জগদীপ ধনখড়ের। ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের ঝুনঝুনু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চিতোরগড়ের সৈনিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্নাতক স্তরে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন তিনি। ধনখড়ের স্ত্রী হলেন সুদেশ ধনখড়। তাঁদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
অ্যাডভোকেট হিসেবেই কেরিয়ার শুরু
১৯৭৯ সালে অ্যাডভোকেট হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। রাজস্থান হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তিনি সুপ্রিম কোর্টেও ১৯৯০ সাল থেকে অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন। রাজস্থান হোইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।
১৯৮৯ -তে তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ
১৯৮৯ -তে তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ। নিজের জন্মস্থান ঝুনঝুনু থেকে জনতা দলের টিকিটে লোকসভায় প্রার্থী হন তিনি। এক বছরের মধ্যে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ পান। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে রাজস্থান বিধানসভার সদস্য ছিলেন তিনি।
দেবী লালের হাত ধরেই উত্থান ধনখড়ের
বিশিষ্ট রাজনীতিক দেবী লালের হাত ধরেই উত্থান ধনখড়ের। দেবী লালই ধনখড়কে ভোটের ময়দানে নামিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়েই জয়ী হন তিনি। ১৯৯০-তেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ পান।
পিভি নরসিংহ রাও-এর আমলে কংগ্রেসে যোগ
পরে পিভি নরসিংহ রাও-এর আমলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ধনখড়। কিন্তু অশোক গেহলট যখন রাজস্থানের রাজনীতিতে ক্রমশ প্রথম সারিতে আসতে শুরু করেন, তখনই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান ধনখড়। শোনা যায় বসুন্ধরা রাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁর।
সবথেকে বেশি চর্চিত
তবে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিলেও বাংলার রাজ্যপাল হওয়ার পর সবথেকে বেশি চর্চিত হয়েছেন জগদীপ ধনখড়। বারবার তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সরকারের সংঘাত এসেছে সংবাদ শিরোনামে। তাঁকে বিজেপির এজেন্ট তকমাও দিয়েছে তৃণমূল। এমনকি উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিইয়ে রইল সেই সংঘাত। এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ধনখড়ের নাম ঘোষণার পরই নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় তৃণমূল।