পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা
পুরুষদের ফ্রিস্টাইল কুস্তির ৮৬ কেজি বিভাগের ফাইনালে ভারতের দীপক পুনিয়ার প্রতিপক্ষ ছিলেন মহম্মদ ইনাম ২০১০ সালের দিল্লি ও ২০১৮ সালের গোল্ড কোস্টের কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন পাকিস্তানের এই কুস্তিগীর। দীপক তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট, এদিন তিনি জিতলেন কেরিয়ারের প্রথম কমনওয়েলথ গেমস পদক। হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে অবশ্য শুরু থেকে ভালোই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন দীপক। প্রথম পিরিয়ডের শেষে তিনি এগিয়ে ছিলেন ২-০ ব্যবধানে।
দীপকের সোনালি সাফল্য
শেষ অবধি ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দেন পাক প্রতিপক্ষকে। শেষ তিন মিনিট পাক প্রতিপক্ষ দীপকের সঙ্গে পেরেই ওঠেননি। দীপক পুনিয়ার ডিফেন্স এদিন ছিল অনবদ্য। ফলে একটি পয়েন্টও আদায় করতে পারেননি পাকিস্তানের এই তারকা কুস্তিগীর। দীপকের আগেই ভারতকে সোনা এনে দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিক। এরপর যেহেতু প্রতিপক্ষের নাম পাকিস্তান, ফলে দীপকের এই সোনা যেন আক্ষরিক অর্থেই সোনায় সোহাগা।
|
গ্রামে উৎসব
দীপক পুনিয়া কমনওয়েলথ গেমসে নিজের প্রথম পদকটি জিততেই তাঁর গ্রামের বাড়িতে উৎসব শুরু হয়ে যায়। ভিড় জমিয়েছিলেন আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীরা। সকলেরই চোখ ছিল টিভির পর্দায়। হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলায় ছাড়া গ্রামে বাড়ি দীপকের। তাঁর বাবা সুভাষ পুনিয়া বলেন, ফাইনালে আমার পুত্র পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জেতায় আমি বেশি খুশি হয়েছি।
পদকজয়ীদের প্রতিক্রিয়া
কুস্তিতে পদকজয়ীদের ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাক্ষী মালিক সোনা জয়ের পর বলেছেন, এবার আমার লক্ষ্যই ছিল সোনা জেতা। নিজের সেরাটা দিয়েছি। সোনা জিতে তাই খুব খুশি। জাতীয় সংগীত যখন বাজছিল তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। অপর সোনাজয়ী বজরং পুনিয়া বলেন, আমি সব সময় নিজের সেরাটা দিয়ে থাকি। যাঁরা পাশে থেকেছেন সকলকে ধন্যবাদ। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকেও সোনা জিততে চাই। কুস্তিগীরদের সাফল্যে কমনওয়েলথ গেমসের পদক তালিকায় ভারত পাঁচে উঠে এসেছে। ৯টি সোনা, ৮টি রুপো ও ৯টি ব্রোঞ্জ, এই ৬টি পদক নিয়ে ভারতের মোট পদকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬।