শুখা বিহারে আবারও বিষমদ কাণ্ড। শুক্রবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাত জনের এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১৫ জন, এদের মধ্যে কারোর কারোর দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে। বিহারের সরণ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷
সরণের জেলা শাসক রাজেশ মীনা জানিয়েছেন যে মেকার পুলিশ থানার অন্তর্গত গ্রামগুলিতে এই ঘটনা ঘটার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গ্রামবাসীরা বিষমদ খেয়েছিল। পাঁচজন এই ঘটনায় মারা গিয়েছে, যার মধ্যে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে দু'জনের মৃত্যু হয়। এরা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই তাদের পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বলে জানান জেলা শাসক।
জেলা শাসক আরও জানান যে ১০ জনের বেশি মানুষের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে। সরণের এসপি সন্তোষ কুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সন্দেহভাজন পাচারকারীদের ধরতে আমরা মেকার, মারহাউরা এবং ভেলদি থানা এলাকায় অভিযান চালাচ্ছি। অপারেশন শেষ হওয়ার পর আমরা বলতে পারব ক'জনকে গ্রেফতার করেছি।' স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন নাগ পঞ্চমীর উৎসবে গাঁজার মতো নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা একটি প্রথা ছিল, যা এই সপ্তাহের শুরুতে হয়। তবে কেউ কেউ বেশি মাত্রায় মদ খেয়ে ফেলে। প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর থেকে বিহারে বিষমদ কাণ্ডের জেরে ৫০-এর বেশিজন মারা গিয়েছে।
এ বছরের জানিয়ারিতে সরণে বিষমদ খেয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়। গত মাসে বিহারের রাজধানীতে বিষমদ খেয়ে ২ জন মারা যায়। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহার জুড়ে মদ বেচা-কেনা নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনকী গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তবে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকই ওই রাজ্যে বেআইনি চোলাই ব্যবসার রমরমা বেড়েছে। গত ছয়-সাত বছরে বিহারে কয়েক হাজার মানুষ বিষমদের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ।