হরিয়ানার সোনার ছেলে
সুধীরের ওজন ৮৭.৩০ কেজি। তিনি প্যারা-পাওয়ারলিফটিংয়ে প্রথম প্রয়াসে তোলেন ২০৮ কেজি। দ্বিতীয় প্রয়াসে তোলেন ২১২ কেজি। তবে তৃতীয় প্রয়াসে ২১৭ কেজি তুলতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় প্রয়াসে ২১২ কেজি তোলার সুবাদে সুধীরের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৩৪.৫। যা কমনওয়েলথ গেমসে নয়া রেকর্ড। আর সেটিই ন্যাশনাল এগজিবিশন সেন্টারে সুধীরের সোনা নিশ্চিত করে দিল। উল্লেখ্য, অ্যাথলিটের সেরা লিফট, শরীরের ওজন, বয়স,লিঙ্গ-সহ অনেক ফ্যাক্টর দেখে প্যারা-পাওয়ারলিফটিংয়ের পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
ঐতিহাসিক পদক
সুধীর হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা। চার বছর বয়স থেকেই তিনি পোলিও আক্রান্ত। ২০১৩ সাল থেকে প্যারা-পাওয়ারলিফটিং শুরু। ইতিমধ্যেই তিনি এশিয়ান গেমসের প্যারা-পাওয়ারলিফটিংয়ে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে অবশ্য এশিয়ান গেমস এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুধীর ৬ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও এশীয় ব্রোঞ্জজয়ী। গত জুনে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব প্যারা পাওয়ারলিফটিং এশিয়া-ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব ৮৮ কেজি বিভাগে সুধীর ব্রোঞ্জ জেতেন। সেখানে তিনি তুলেছিলেন ২১৪ কেজি।
সেরা সাফল্য
কেরিয়ারের সেরা সাফল্য সুধীরের। সোনা জয়ের পর তিনি বলেছেন, সোনা জিতব সেই আত্মবিশ্বাস ছিল। আমার প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছিল। বার্মিংহ্যামকে ধন্যবাদ। প্রস্তুতির পাশাপাশি এখানকার আবহাওয়া অনুকূল ছিল। যে দর্শকরা এসেছিলেন তা অসাধারণ। আপাতত এই সাফল্যকে সেলিব্রেট করতে চাই। লন্ডনে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করব। সেই সঙ্গে শহরটি ঘুরে দেখার পরিকল্পনা রয়েছে।
|
অভিনন্দনের বন্যা
সুধীরের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুধীর এবারের গেমসে ভারতের ষষ্ঠ সোনা নিশ্চিত করার পর মোদী টুইটে সোনার ছেলের আত্মোৎসর্গ ও দৃঢ়সংকল্পের প্রশংসা করেন। সুধীরের ধারাবাহিক সাফল্যের কথা মনে করিয়ে আগামীর জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে আগামী দিনে তাঁর আরও সাফল্য ও নতুন মাইলস্টোন তৈরির শুভেচ্ছা জানান।