আনন্দের ফুটবল
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দকে সকলেই দাবার বোর্ডে দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু তিনি যে ফুটবল পায়েও সাবলীল সেটা দেখা গেল চেস অলিম্পিয়াডের রেস্ট ডে-তে। চেন্নাইয়ে চেস ফিভার। তারই মধ্যে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে হয়ে গেল প্রদর্শনী ম্যাচগুলি। এর আয়োজক ছিল ইন্টারন্যাশনাল চেস ফেডারেশন বা ফিডে।
চ্যাম্পিয়ন আফ্রিকা
ফিডের এই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তামিলনাড়ু সরকার ও চেন্নাইয়িন এফসি। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী থিরু শিবা ভি মেয়ানাথন নিজেও উপস্থিত ছিলেন। ফিডের দলের পাশাপাশি ছিল সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার দল। দুটি গ্রুপে তিনটি করে দলকে রাখা হয়েছিল। দাবার বোর্ডে যেমন ঝড় তুলে থাকেন আনন্দ, তেমনই ফুটবল পায়েও বেশ ভালো কিছু ঝলক দেখালেন। তবে ফুটবলের এই লড়াইয়ে বাকিদের টেক্কা দিয়েছে আফ্রিকার দলটি।
অভিনব উদ্যোগ
এই উদ্যোগের প্রসঙ্গে বিশ্বনাথন আনন্দ বলেন, অনেক দাবাড়ু রয়েছেন যাঁরা ভালো ফুটবলও খেলেন। ইউরোপ ও আফ্রিকার দাবাড়ুরা ফুটবল নিয়ে খুব উৎসাহী। আমি নিজেও ফুটবল ভালোবাসি এবং ফলো করি। নিজে খুব বেশি না খেললেও ফুটবল ম্যাচ সব সময়ই উপভোগ করি। ফলে আজ ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়ে সকলেই খুশি। এতে পারস্পরিক বন্ধনও সুদৃঢ় হয়। অনেক ফুটবলারও দাবা খেলতে ভালোবাসেন। সবমিলিয়ে দাবা ও ফুটবলের মেলবন্ধন খুবই ইতিবাচক।
চেন্নাইয়িন এফসিকে শুভেচ্ছা
চেন্নাইয়িন এফসি আইএসএলের আগে ডুরান্ড কাপে অংশ নেবে। চেস অলিম্পিয়াডে ভারতীয় দলগুলির মেন্টরের ভূমিকায় থাকা আনন্দ চেন্নাইয়িন এফসিকে আগামী মরশুমের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমি এই ক্লাব ও ফুটবলপ্রেমীদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। আসন্ন মরশুমে চেন্নাইয়িন এফসি ভালো পারফরম্যান্স উপহার দেবে, এটাই কামনা করি।