সংস্কৃতভাষী গ্রামের বৈশিষ্ট্য
উত্তরাখণ্ড মোট ১৩ টি সংস্কৃতভাষী গ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই গ্রামগুলিতে দৈনন্দিন ব্যবহারিক ভাষা হিসেবে সংস্কৃত ব্যবহার করা হবে। গ্রামবাসীদের তার আগে সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষিত করতে হবে। সেই কারণে সংস্কৃতে পারদর্শী ব্যক্তিদের সাহায্যে গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের সংস্কৃত শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা অনেকদিন আগে থেকে নেওয়া হচ্ছে। যে ১৩টি গ্রামকে সংস্কৃতভাষী গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের একটি দল পাঠানো হবে। সংস্কৃতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি গ্রামবাসীদের বেদ ও পুরানও পড়ানো হবে।
ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু
যেগুলো সংস্কৃতভাষী গ্রাম তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেখানে শুধু সংস্কৃত, বেদ, পুরান পড়ানো হবে না। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে উঠবে গ্রামগুলো। ওই গ্রামের তরুণ প্রজন্মের বাসিন্দাদের তাঁদের পূর্বপুরুষের ভাষায় কথা বলতে হবে। ধন সিং রাওয়াত বলেন, ওই গ্রামের তরুণদের শিকড়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পর্যটনের দিকটাও মাথায় রাখা হবে। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, অনেক বিদেশিদের মধ্যে প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। গ্রামগুলো পর্যটনের জন্য আদর্শ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, অনেক ভারতীয় নিজেদের শিকড়কে চিনতে চান। নিজেদের আদি সংস্কৃতি জানতে চান, তাঁদের জন্য এই গ্রামগুলো তীর্থতক্ষেত্রে পরিণত হবে বলে উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে।
সংস্কৃতভাষী গ্রামের আগের প্রকল্প ব্যর্থ
উত্তরাখণ্ড সরকার প্রথম থেকেই সংস্কৃতের ওপর জোর দেয়। উত্তরাণ্ডে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা সংস্কৃত। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত যখন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় সংস্কৃতভাষী গ্রাম তৈরির করার পরিকল্পনা প্রথম করেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি। বাগেশ্বর ও চামেলি জেলায় কয়েকটি পাইলট প্রকল্প চালু হয়। তারপর বেশি দূর আগ এগোয়নি। তবে এবার বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই দেখার। তবে কবে থেকে এই সংস্কৃতভাষী গ্রামের কাজ শুরু হবে, সেই নিয়ে কোনও তথ্য উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়নি।