পার্থদার ওজন কমেনি মমতার বকাতেও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই তাঁর দলের 'নম্বর টু' ও মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলতেন, পার্থদা শরীরচর্চা করুন, ওজন কমান। অন্যান্য ওজনদার নেতা-নেত্রীদেরও পরামর্শ দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার তিনি সতর্ক করেছেন। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওজন কমিয়েওছেন। কিন্তু পার্থদার ওজন কমেনি। পার্থদা হেভিওয়েটই রয়ে গিয়েছেন।
ওজন ঝরিয়ে হেভিওয়েট থেকে হালকা পার্থ
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন গ্রেফতারির সময় কত ছিল, তা জানা না গেলেও তিনি যখন এসএসকেএম থেকে ভুবনেশ্বরে এইমসে গিয়েছিলেন, তখন জানা গিয়েছিল তাঁর ওজন। বাংলার হেভিওয়েটমন্ত্রীর শারীরিক ওজন ছিল ১১১ কেজি। কিন্তু তারপর এই ১২ দিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় হারিয়েছেন মন্ত্রীর তকমা। তিনি এখন শুধু বিধায়ক। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ওজন অনেকটাই কমে গিয়েছ। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক ওজনও বেশ কমে গিয়েছে। তিনি ওজন ঝরিয়ে হেভিওয়েট থেকে সাধারণ হয়ে উঠছেন।
১২ দিনে তিন কেজি ওজন কমল পার্থর
শুক্রবার আদালতে পেশ করার আগে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানকার রিপোর্টেই দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় হালকা হয়েছেন। তাঁর ওজন কমে ১০৮ কেজি হয়ে গিয়েছে। ২৪ জুলাই এইমসে রিপোর্টে তিনি ছিলেন ১১১ কেজি। আর ৫ অগাস্ট তিনি হলেন ১১১ কেজি। ১২ দিনে তাঁর ওজন কমে গেল তিন কেজি।
খাদ্যরসিক পার্থ, ওজন তো কমবেই!
তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন কমলেও খুব একটা শারীরিক সমস্যা নেই। পার্থবাবু সাধারণত খাদ্য রসিক বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ইডি হেফাজতে তো আর নাকতলার বাড়ি বা বোলপুরের অপার মতো রাজসিক খাবার-দাবার পাচ্ছেন না। তাই তাঁর ওজন কমাটাও স্বাভাবিক। ইচ্ছামতো খাবার পাচ্ছেন না। তার উপর মানসিক অবস্থাও ভালো নেই। ওজন তো কমবেই!
পার্থদার খাওয়া-দাওয়া ছিল ঈর্ষণীয়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডায়াবেটিস রয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তিনি। কিন্তু পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের অনেকেই বলেন, তিনি খুব একটা নিময় মেনে খাওয়াদাওয়া করেন না। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাওয়া-দাওয়া যে ঈর্ষণীয় ছিল, তা তৃণমূলের সবাই জানেন। জানেন অনেক সাংবাদিকও।