বর্ষাকাল মানেই এখন কেরলের কাছে তা আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ সালে কেরল ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল। যেখানে একাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন, প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষ সহ অবলা প্রাণীর। এই বছরেও রাজ্যের একাধিক অংশে ভারী বৃষ্টিপাত চোখ রাঙাচ্ছে। যে কারণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের আটটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করল আইএমডি। বৃষ্টির জলে নদীগুলি উপচে পড়ায় এবং আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর বহু মানুষ তাঁদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন।
লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে পাঠানমতিথা, আলেপ্পি, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশূর, পালাক্কাদ ও কান্নুরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র তিরুবন্তপুরমে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। জানা গিয়েছে, রাজ্যের দীর্ঘতম নদী পেরিয়ারের জল উপচে পড়ছে এবং যার ফলে আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটা ছাড়াও ছলককুড়ি, পম্পা, মণিমালা ও অচানকোভিল নদীগুলিও অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে বিপদ স্তর অতিক্রম করে গিয়েছে বা খুব কাছাকাছি রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছলককুড়ি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সরে যেতে প্রস্তুত থাকার জন্য সতর্ক করেছেন। তিনি ত্রিসূর ও এর্নাকুলাম জেলার নীচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদেরও সতর্ক করেছেন। পাহাড়ি এলাকায় এই সময় রাতের দিকে সফর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, কারণ এতে ঝুঁকি রয়েছে মারাত্মকভাবে, জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, পনমুডি, লোয়ার পেরিয়ার, কল্লারকুট্টি, এরাত্তায়ার ও ইডুক্কির কুন্ডালা এবং পথনমতিথার মুজহিয়ার এই ছ'টি প্রধান বাঁধে জল সংরক্ষণের স্তর সতর্কতার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের কিছু অংশে ধস নেমেছে যা রাস্তার যানজটকে প্রভাবিত করেছে।
এর আগেও কেরল ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্মখীন হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় অতিভারী বৃষ্টির ফলে বহু মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে কেরল সরকার আগাম বন্দোবস্ত করে রেখেছে। যাতে কোনওভাবে রাজ্যবাসী বিপদে না পড়ে। প্রস্তুত হয়ে রয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।