অন্য কারও ভূমিকা নেই
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রদবদল-নিয়োগ-দফতর বন্টন মুখ্যমন্ত্রী অধিকারের মধ্যে পড়ে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় অঙ্গ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের
মন্ত্রীদের মর্যাদা, সুযোগ, কাজ করার ক্ষমতা কতটা আছে, তা তাঁর (শুভেন্দু) থেকে ভাল কেউ জানে না। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী বলা হয়ে থাকে। কারণ সবটাই একজন করেন। অন্য কারও কোনও
ভূমিকা এখানে নেই।
দেড়লাখি মন্ত্রী
এদিন পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, প্রদীপ মজুমদার, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং উদয়ন গুহ। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তাজমুল হোসেন এবং সত্যজিৎ বর্মন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু আর্থিকভাবে দেউলিয়া, সেই কারণে কোভিডের বাধা নিষেধ উঠে যাওয়ার পরেও, অর্থ দফতর মন্ত্রীদের অধিকার খর্ব করে ১০ লক্ষ খরচের জায়গায় দেড় লক্ষ টাকা খরচে নামিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন এর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং ১০ দিনের কাজের সুপার ভাইসরদের কাজ করার ক্ষমতা এবং বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক বেশি।
এই রাজ্যে টোল বিতরণ, পথ-মত এবং একমাত্র লক্ষ্য বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে তুষ্টিকরণ এবং তোষণ।
দিল্লিতে সিআইডি আধিকারিকদের আটক প্রসঙ্গ
দিল্লি এবং অসমে সিআইডির আধিকারিকদের আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, টাইট দেওয়া উচিত ছিল। জ্ঞানবন্ত সিংকে বসিতে অপকর্ম করতে চেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
পরে কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজশেখরণকে বসানো হয়েছে এডিজি সিআইডি করে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন এই রাজ্যে ভাইপোর সব অপকর্মে অনুমতি দিয়ে রেখেছে। তবে অন্য রাজ্যে গেলে তো অনুমতি নিতে হয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে
বলেন ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা আরও ঘটবে।
দুর্নীতি ও সিএএ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা
এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে এই রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে। তাই তা তাড়াতাড়ি চালু করা হোক, এই দাবি করেছেন। সিএএ নিয়ে তিনি আশাবাদী বলেই জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।