গেমস ভিলেজ থেকে উধাও শ্রীলঙ্কার তিন খেলোয়াড়, শুরু খানাতল্লাশি

শ্রীলঙ্কার ক্রীড়াবিদরা কমনওয়েলথ গেমসে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ সে দেশে তীব্র খাদ্য ও জ্বালানীর ঘাটতি ছাড়াও ব্যাপক ঋণ সংকটের মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে শ্রীলঙ্কার দল থেকে তাদের সফরকারী দলের তিন সদস্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য তাদের সমস্ত অ্যাথলিটদের পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছে গেমস কমিটি।

শ্রীলঙ্কা বিশাল অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও গেমসের জন্য ৫১ জন কর্মকর্তা সহ ১৬১ সদস্যের দল বাছাই করেছিল। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণের জন্য ইনভেস্টমেন্ট করেছে। শ্রীলঙ্কান দলের প্রেস অ্যাটাশে গোবিনাথ শিবরাজা বলেছেন যে একজন জুডো খেলোয়াড়, একজন কুস্তিগীর এবং জুডো ম্যানেজার নিখোঁজ হয়েছেন।

শিভারাজা বলেছেন, "আমরা সমস্ত ক্রীড়াবিদ এবং কর্মকর্তাদের এই ঘটনার পরে সমস্ত ভিলেজে আমাদের নিজ নিজ ভেন্যু কর্মকর্তাদের কাছে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে বলেছি। পুলিশ তদন্ত করছে এবং তিনজন ইউকে সীমানা অতিক্রম করতে না পারে তা নিয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে যা ঘটেছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।"

শ্রীলঙ্কার জুডো দলে তিনজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা খেলোয়াড় রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিখোঁজ জুডো খেলোয়াড় একজন মহিলা। বার্মিংহাম থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বের কভেন্ট্রি অ্যারেনায় জুডো এবং রেসলিং ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ঘটনা হল বাস্কেটবল দলের সদস্যরা জ্বালানি সংকটের কারণে গত তিন মাসে তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

এদিকে রনিল বিক্রমসিংহের উপরেই ভরসা রাখেন দেশের মানুষ। শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি িনর্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে। দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে তিনি প্রথম এগিয়ে এসে হাল ধরেছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হলেন রনিল বিক্রম সিংহে। সংকট পূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশ। এই মুহুর্তে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে কার উপর ভরসা রাখা হবে সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। দেশের কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। কিন্তু দেশের যা হাল তাতে পাকাপোক্ত েনতা জরুির। যিিন কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল িদতে পারবেন। আর সেই কাজে একমাত্র অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে রনিল বিক্রমসিংহের। শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতা বিক্রমসিংহে।

রাষ্ট্রপতি পদে িনর্বাচিত হয়ে জয়োল্লাসের কিছু করে উঠতে পারেননি বিক্রম সিংহে। উল্টে তিনি বলেছেন তাঁর সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আনন্ত করার সময় নেই। যে তীব্র অর্থসংকট তৈরি হয়েছে দেশে তার থেকে কীভাবে মুক্ত হওয়ায় যায় তার পথ তৈরি করতে হবে। দেশে শান্তি এবং সুশাসন স্তাপন করা আরও বড় চ্যালেঞ্জ বিক্রম সিংহের কারণ রাজাপাক্ষের শাসনের অবসানের পর চরম অরাজকতা চলছে দেশে। যাকে বলে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। লুঠ, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ দখলের মত ঘটনা ঘটছে শ্রীলঙ্কায়।

More SRI LANKA News  

Read more about:
English summary
from the commonwealth village sri lankan team three member missing
Story first published: Thursday, August 4, 2022, 13:06 [IST]