পাঁচটি ব্যালিস্টিক মিসাইল পড়েছে বলে দাবি
এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ জাপান। এমনকি কড়া ভাষায় এই ঘটনার প্রতিক্রয়া দিয়েছে সে দেশ। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচটি ব্যালেস্টিক মিসাইল দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে এসে পড়েছে। মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চিন যে নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তার মধ্যে পাঁচটিই জাপানের ভূখণ্ডে পড়েছে। জাপান মনে করছে চিন অন্তত ৯টি মিসাইল জাপানের দিকে করেই ছুঁড়েছে।
কড়া ভাষায় বিরোধ দেখিয়েছে জাপান-
এ ঘটনায় চীনের কাছে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান সরকার। ঘটনার পরেই কার্যত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হন কিশি। সেখানে তিনি বলেন, এটি একটি গুরুতর বিষয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি তাঁর। যদিও চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণে ১১ টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তাইপে প্রশাসন এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
তাইওয়ানের উপর থেকে উড়ে যায় -
ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ইকোনমিক জোনে পড়ার আগে তাইওয়ানের উপর দিয়ে গিয়েছে। জাপানের এই ইকোনমিক জোন উপকূল থেকে 200 নটিক্যাল মাইল বা 370 কিলোমিটার বিস্তৃত। ওকিনাওয়া, জাপানের দক্ষিণতম দ্বীপ অঞ্চল, তাইওয়ানের সংলগ্ন। তাইওয়ানের ইয়োনাগুনি দ্বীপ থেকে জাপানের ওকিনাওয়া প্রদেশের দূরত্ব মাত্র ১১০ কিলোমিটার।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনবে না তো?
আমেরিকাকে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কমিউনিস্ট চিন। যা নিয়ে কার্যত উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। আর এর মধ্যেই গত ২৪ ঘন্টা আগে তাইওয়ানের আকাশসীমা পেরিয়ে যায় চিনের যুদ্ধবিমান। তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে টানা দ্বিতীয় দিন প্রবেশ কে চিনা যুদ্ধবিমান। যা নিয়ে নতুন করে টেনশন চরমে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। এই টেনশন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনবে না তো?